“জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন শুধু জনপ্রশাসন সংস্কার করুক। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যের সংস্কার করুক।”
Published : 23 Dec 2024, 08:11 PM
স্বাস্থ্য ক্যাডার বিলুপ্ত করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করে ‘বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন’ বলেছে, তাহলে কোনো ক্যাডার সার্ভিসই ‘রাখা যাবে না’।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৫ হাজার সদস্যের মুখপাত্র বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের ‘একতরফা সংস্কার প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করছে।
‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য ক্যাডার বিলুপ্তি সংক্রান্ত সুপারিশ প্রত্যাখান ও উপসচিব পদে সকল ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে’ এ সংবাদ সম্মেলন ডাকে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন ও সদস্য সচিব তানিয়া নাসরিন।
তারা বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও বিসিএস স্বাস্থ্যকে ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার সুপারিশ করতে যাচ্ছে বলে তারা জেনেছেন। এ ধরনের সুপারিশ তারা মানবেন না।
গত মঙ্গলবার রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি করার বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এগুলো বিশেষায়িত বিভাগ; এগুলো ক্যাডার থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য আলাদা কমিশন করার পক্ষে মতামত তুলে ধরবে সংস্কার কমিশন।”
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া নাসরিন বলেন, “আমরা সংস্কার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। তবে দুরভিসন্ধিমূলক সুপারিশ কিংবা হেলথ ক্যাডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো সংস্কার প্রস্তাব হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, স্বাস্থ্যের কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক কমিশন হলে কী সমস্যা হবে।
জবাবে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, “আলাদা কমিশন হলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নীতিমালা কীভাবে হবে, কমিশন স্বাধীনভাবে কীভাবে চলবে, এসব বিষয় স্পষ্ট নয়।
“জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন শুধু জনপ্রশাসন সংস্কার করুক। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যের সংস্কার করুক। যদি স্বাস্থ্যে ক্যাডার সার্ভিস বাদ দিতে হয় তাহলে দেশে কোনো ক্যাডার সার্ভিস থাকবে না।”
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সম্ভাব্য সুপারিশের প্রতিবাদে ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা এই কর্মসূচির বাইরে থাকবেন।
আর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি এবং আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ আয়োজন করা হবে।