“এই বেদনা আমি বুঝি। তাই ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমার চিন্তা আছে।”
Published : 07 May 2024, 05:41 PM
ডেঙ্গু রোগে মাকে চিরতরে হারিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, তিনি চান না, আর কেউ এ রোগে মারা যাক। সেজন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ব্র্যাক এবং ইউএইচসি ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সামন্ত লাল সেন বলেন, “ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুই দিনের জ্বরে আমার মা মারা গেছেন৷ এই বেদনা আমি বুঝি। তাই ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমার চিন্তা আছে। ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি, আর কেউ যেন না হারায়।”
দেশে প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে গত বছর।
২০২৩ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
এ বছরও এই রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ২৩২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রস্তুতি শীর্ষক আলোচনা সভায় সামন্ত লাল সেন বলেন, "ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
“যে কোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। এই ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তবেই আমরা সফলভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব।”
দেশেই ডেঙ্গু শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করায় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। এই কিট অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে অনুরোধ করেন তিনি।
“ডিজি ড্রাগস এই কিট অনুমোদন দিলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সহজলভ্যভাবে ও স্বল্প খরচে ব্যাপকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেবে।”
মশা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং নাগরিকদের সবাইকেই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে যাতে স্যালাইনের সঙ্কট এবং দাম না বাড়ে, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, রোগী ব্যবস্থাপনায় সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক ডা. মালা খান বক্তব্য দেন।