ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, রোগী ভর্তি ১৮৮ জন

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে; হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮৮ জন।

রোববার সকাল পর্যন্ত যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকায় দুইজন এবং ঢাকার বাইরের দুইজন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসছে। অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও সপ্তাহের হিসাবে সেই তথ্যও দেখা গেছে। শনিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে আগের সাত দিনের তুলনায় মৃত্যু ও আক্রাক্ত কমতে দেখা গেছে।

অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, মশাবাহিত এ রোগে শনিবার পর্যন্ত আগের এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৯০ জন রোগী। এর আগের সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমেছে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯১৯ জন, যা ৪১ দশমিক ৬০ শতাংশ কম।

মৃত্যুর হিসাবে দেখে গেছে শনিবার পর্যন্ত আগের সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের সাত দিনে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু কমেছে ৪২ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এদিকে রোববার সকাল পর্যন্ত আগের এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৪৭ জন ঢাকার বাইরে এবং ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন রোগী।

সব মিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬০ জনে। মোট ভর্তি রোগীর বেশির ভাগ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার, ২ লাখ ১০ হাজার ৬৪৩ জন। ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১৭ জন।

সবমিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৬৯৭ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার ৭২০ জন।

রোববার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ১ হাজার ১০১ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৩৬০ জন ঢাকায় এবং ৭২০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

মাসের হিসাবে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ জন, জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৭৬ জন, অগাস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং অক্টোবরে ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন, নভেম্বর মাসে ৪০ হাজার ৭১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৯ জন।

মাসওয়ারি মৃত্যুর হিসাবে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুই জন, মে মাসে দুইজন, জুনে ৩৪ জন, জুলাইয়ে ২০৪ জন, অগাস্টে ৩৪২ জন, সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জন, অক্টোবরে ৩৫৯ জন এবং নভেম্বরে ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ডিসেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে ৭৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।