বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে
Published : 01 Jun 2024, 02:20 PM
শুরু হয়েছে ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন; যার আওতায় দেশের ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
শনিবার মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-নিপসমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
শৈশবকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমাতে সারাদেশের ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে, ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এই কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
“জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন। এতে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নাই বললেই চলে।”
বছরে দুই বার শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এতে ভিটামিন-এ এর অভাবজনিত অন্ধত্বের হার কমে শতকরা ১ ভাগের নিচে এসেছে।
“ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।”
ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা সবটুকু তরল শিশুকে খাওয়াবেন। শিশুদের কান্নার সময় অথবা তাদেরকে জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে এক হাজার ২২৪টি টিকাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে এসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশু রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. জিয়াউদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য অধিশাখা) শিব্বির আহমেদ ওসমানী, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা.মো. শামিউল হক উপস্থিত ছিলেন।