বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব শেষ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে ১৮তম এই উৎসব হয়

কিংবদন্তী বাউল শিল্পী শাহ আবদুল করিম স্মরণে আঠারতম ‘শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব ২০২৩’ শেষ হয়েছে। 

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী এই লোক উৎসব রোববার ভোর রাতে শেষ হয়েছে। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানায়, শুক্রবার সকাল থেকেই সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাউলদের মিলনমেলায় পরিণত হয় উৎসব প্রাঙ্গন। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই উৎসবে লোক গানের স্রষ্টা বাউল সম্রাট শাহ্‌আবদুল করিমকে গানে গানে, শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। ২০০১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অমর লোক গানের স্রষ্টাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বক্তারা। 

২০০৯ সালে মৃত্যুর আগেই জীবন্ত কিংবদন্তী হয়ে উঠা এই বাউল শিল্পীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে ১৮তম এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শাহ আবদুল করিম পরিষদ এই উৎসবের আয়োজন করে। 

লোক উৎসব উপলক্ষে আবদুল করিম স্মৃতি সংগ্রহশালার সামনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। 

শাহ্‌আবদুল করিমের একমাত্র ছেলে ও উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক শাহ্‌নূর জালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন। এছাড়া বিকাশ এর রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ারস বিভাগের ইভিপি হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শাহ্‌আবদুল করিম সাধারণের জন্য গান গাইতেন। তাঁর গানে ফুটে উঠেছে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা, আছে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের অধিকারের কথা। আছে প্রেম, বিরহের অনন্য উপ্যাখানও। তার গানে রয়েছে নিজেকে জানার কথা ও মানুষের জন্য জীবনমুখী দিকনির্দেশনা।