Published : 04 Jan 2024, 09:29 AM
ঢাকার খামারবাড়ির টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশে একটি ট্রাক ঘিরে ভিড় করে ছিলেন শতাধিক উৎসুক মানুষ, কাছে যেতেই দেখা মিলল দেলোয়ার হোসেন বয়াতি ও তার দলের।
বয়াতির দল গান করছিলেন; অন্য কোনো গান নয়, ভোটের গান।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রচারে তারা গান বেঁধেছেন। সেই গানে গানে তারা চাইছেন ভোট।
নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের যে কোনো প্রার্থীর প্রচারে ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ গানটি শোনা যাচ্ছে অহরহ। একাদশ সংসদ নির্বাচনেই গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এবার সেই গানের পাশাপাশি কানে বাজছে আরও কিছু গান, যেগুলোর উদ্দেশ্য কেবল প্রার্থীর প্রচার।
খামারবাড়ি চত্বরে দেলোয়ার বয়াতির দল আওয়ামী লীগ এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের গুণকীর্তন করছিলেন গানে গানে। তাদের একটি গানের কথা ছিল এমন- ‘সব মার্কার চাইতে আমার কামাল ভাই ভালা'।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেলোয়ার বলেন, “আমি কামাল ভাইয়ের কর্মী, আওয়ামী লীগের কর্মী। আমি আমার নেতার জন্য ভোট চাইতেছি।”
বিএনপি সরকারের মেয়াদে ২০০৬ সালে ‘পুলিশের আক্রমণের শিকার’ হয়েছিলেন দেলোয়ার। সেই কথা স্মরণ করে তিনি বললেন, “ওই বছরের ১৪ জানুয়ারি সোনারগাঁ হোটেলের পাশে আওয়ামী লীগের একটি সভা ছিল, সেই সভার মধ্যে আমি বঙ্গবন্ধুর গান করেছিলাম। তখন পুলিশ আমার চুলে ধইরা লাঠি দিয়া পিটাইছিল। আমার অপরাধ ছিল বঙ্গবন্ধুর গান করছিলাম।”
বয়াতির গান ছাড়াও নির্বাচনি প্রচারের বিভিন্ন সাউন্ড সিস্টেমে বাঁজছে অনেক গান। জনপ্রিয় কোনো গানের সুর নকল করে কথা বদলে এসব গান তৈরি করা হয়েছে।
মূলত সব গানেই প্রার্থীর স্তুতি গেয়ে চাওয়া হচ্ছে ভোট। নির্বাচন এলে গান বেঁধে প্রার্থীর প্রচারের এই রীতি বেশ জনপ্রিয় বহু বছর ধরেই।
এক ঘণ্টায় তৈরি হচ্ছে গান
নির্বাচন এলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কিছু রেকর্ডিং স্টুডিও। জনপ্রিয় কোনো শিল্পীর গানের সুর রেখে কথা পাল্টে দিচ্ছে তারা, অল্প সময়েই তৈরি হচ্ছে নতুন গান। এসব গান তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের রেকর্ডিং স্টুডিওর প্রচারও করতে দেখা যায় কোম্পানিগুলোকে।
কমল মিডিয়া নামে একটি রেকর্ডিং স্টুডিওর ম্যানেজার শফিক আদনান বলেন, “জনপ্রিয় গানের সুরে মিউজিক ট্র্যাকটা তৈরি করতে আমাদের ৪/৫ দিন সময় লাগে। আর ট্র্যাকটা তৈরি হলে সেই ট্র্যাকে নতুন কথা বসিয়ে আমরা এক ঘণ্টাতেই নতুন গান তৈরি করে দিতে পারি। এখন বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের ট্র্যাক আমাদের তৈরি করা আছে।”
খরচ কেমন হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা তো নির্ভর করে কেমন গান হবে। শুধু মাইকে ব্যবহারের জন্য হলে খরচ এক রকম। ইউটিউবে, সোশাল মিডিয়ায় প্রচারসহ নানা রকম প্যাকেজ আছে। মিউজিক ভিডিও তৈরি করি। ফলে টাকার ব্যাপারটি আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়।”
এবার কতগুলো গান করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এবার বেশি গান করা হয় নাই। ২৫/৩০টার মত গান করেছি। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ শতাধিক গান করেছিলাম। এবার সাত-আটটা গান করছি ঈগল ও ট্রাক মার্কার। আর সব গানই নৌকা মার্কার।”
কপিরাইট লঙ্ঘন হচ্ছে?
জনপ্রিয় গানের সুরে নতুন গান তৈরির সময় মূল সুরকারের অনুমতি নেয় না নির্বাচনি গান বানানো স্টুডিওগুলো।
মমতাজ, সুবীর নন্দী, আইয়ুব বাচ্চু, বেবী নাজনীনের মত শিল্পীদের গাওয়া বেশ কয়েকটি গানের সুরে এভাবে নতুন গান তৈরির কথা জানিয়েছেন কমল মিডিয়ার ম্যানেজার শফিক।
তার ভাষ্য, “আওয়ামী লীগের ‘জিতবে এবার নৌকা’ গানের সুরেও বেশ কয়েকটা গান তৈরি করছি। এছাড়া ‘খেলা হবে’, ‘আম্মাজান’, ‘মরার কোকিলে’ গানেরও আমরা ট্র্যাক বানিয়েছি।”
মূল সুরকারদের কাছ থেকে অনুমতি না নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “গানটি ইউটিউবে তো আছেই, এজন্য ইউটিউবে কপিরাইট আছে কিনা চেক করি। অথবা কিছু মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট নতুন করে বাজিয়ে নতুন ট্র্যাক বানিয়ে ফেলি। কারণ গানটি ইউটিউবে আপলোড করলে তো কপিরাইট ধরে, এজন্য কিছু কিছু ইন্সট্রুমেন্ট নতুন করে বাজিয়ে নতুন ট্র্যাক বানাতে হয়।”
প্যারোডি গান বেশিরভাগ সময় নকল হয় এবং ভোটের গানের সঙ্গে প্যারোডি গানের ‘একটা ঐতিহ্য আছে’ বলে মন্তব্য করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক সাইম রানা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় প্যারোডি গানগুলো সাধারণত জনপ্রিয় গানের সুর থেকেই করা হয়। যারা গানগুলো শুনছে, তারাও জানে এটা অমুক গান থেকেই করা হয়েছে। ফলে এখানে কপিরাইট ইস্যুটা খুব বড় বিষয় হয়ে ওঠে না। কারণ ভোটের আমেজ শেষ হওয়ার পর সেই গানগুলোর আবেদনও ফুরিয়ে যায়। এই গানগুলো নির্ধারিত সময় মাথায় রেখেই করা হয়। সেই সময়ের পর গানগুলো হারিয়েও যায়।
“১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনেও অনেক গান লেখা হয়েছিল। যেগুলো ওই সময়ের বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের সুরে থেকে নকল করা। ফলে এখানে কপিরাইট ইস্যুটা একটু জটিল।”
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনি গানে কপিরাইট লঙ্ঘন হচ্ছে, এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবে গানের মূল স্বত্ত্বাধিকারী যদি অনুমতি না দেন তবে তার গানের কথা বা সুর ব্যবহার করার সুযোগ নেই।”
গানে গানে স্তুতি
‘শেখ হাসিনার সালাম নিন/নৌকা মার্কায় ভোট দিন/জয় বাংলা/জিতবে এবার নৌকা’- গানটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারে জনপ্রিয় হয়েছিল। গত কয়েক বছরের উপজেলা নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বিভিন্ন আসনের উপনির্বাচনসহ সব নির্বাচনেই গানটির জনপ্রিয়তা ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাজানো হয় গানটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গানটির নতুন সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে। নতুন করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, মহামারী থেকে উত্তরণের সাফল্য গাঁথা যুক্ত করা হয়েছে গানের কথায়। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচারেই বাজছে গানটি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দিনভর মাইকে বেজে চলেছে জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রচারের বিভিন্ন গান। একটি গানের কথা এমন-‘সারা বাংলাজুড়ে এখন তার জুরি নাই/ শেখ হাসিনার উন্নয়ন শুধুই দেখতে পাই’।
নানকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জাফর ইকবাল নান্টুকে নিয়েও গান রয়েছে। শিয়া মসজিদের সামনে নান্টুর নির্বাচনি প্রচারের রিকশা থেকে ভেসে আসে- ‘জাফর ইকবাল নান্টু ভাই এবার প্রার্থী হইছেন/ কোনো চিন্তা নাই/ মোমবাতীর আলো/ সংসদে জ্বালো’।
পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং মলের উল্টো দিকে যেতেই মাইকে শোনা যায় চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে নিয়ে গান- 'দাদা দাদি গো/ নৌকা মার্কায় ভোটটা দেবেন গো/ নৌকার মাঝি ফেরদৌস ভাইরে নৌকা মার্কায় ভোটটা দেবেন গো'।
ফেরদৌসের প্রচারের আরেকটি গানের কথা এমন- ‘বেশ বেশ/মনে লাগে বেশ/ জয় বাংলার নৌকা এবার জিতবে বলো বেশ/ ফেরদৌস ভাইয়ের নৌকা এবার জিতবে বলো বেশ’।
ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য এলাকাতেও ভোটের বাজছে প্রচারের এমন গান।
যশোরের ঝিকরগাছার সোহরাব বাউল নড়াইলে হাজির মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার ভোটের প্রচারণায় অংশ নিতে। মাশরাফিকে নিয়ে গানও বেঁধেছেন- ‘মাশরাফী ভাইকে ভালোবেসে/ আমি ছুটে এসেছি নড়াইল-২ আসনে’। ভাওয়াইয়া গানের সুরে সোহরাবের এই গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোহরাব জানান, ব্যক্তিগত উদ্যোগেই নড়াইলে মাশরাফির নির্বাচনের প্রচার করছেন। মাশরাফির সঙ্গে তার সাক্ষাতও হয়েছে।
‘ও গাজী তুমি মাঝি হইয়্যা/উন্নয়নের নৌকা বাইয়্যা যাও’ শিরোনামের একটি গান ফেইসবুকে শেয়ার করে প্রচার চালাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থকরা। গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন সাঈদ সোহেল।
লোক সুরের গানটিতে রয়েছে র্যাপ সুরের ব্যবহার। র্যাপের কথাগুলো এমন- ‘নিজের জানের বাজি ধইরা একাত্তরে যুদ্ধে যায়/ যুদ্ধের শেষে বীরের বেশে ফিরলো স্বাধীন বাংলায়/ জাতির পিতার হাত থেইক্যা বীর প্রতীকের খেতাব পায়/ শেখ হাসিনা আস্থা রাইখ্যা তুইল্যা দিল নৌকায়...’।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। প্রতীক বুঝে নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটের প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা।
ভোটের গানের ঐতিহ্য
গানে গানে ভোট চাওয়ার রীতি বেশ পুরনো। ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৭০ এর নির্বাচনেও গানে গানে ভোটের প্রচার করেছিলেন সংগীত শিল্পীরা। রমেশ শীল, শাহ আব্দুল করিমসহ খ্যাতনামা অনেক শিল্পীই গেয়েছেন ভোটের গান।
হাওর অঞ্চলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বেশিরভাগ নির্বাচনি প্রচার মঞ্চে গান পরিবেশন করেন শাহ আবদুল করিম।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, ১৯৫৬ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথমবার সুনামগঞ্জে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ওই দিন বিকালে এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সে সমাবেশে আবদুল করিমও ছিলেন।
তিনি সে সভায় শেখ মুজিবকে নিয়ে স্বরচিত একটি গান পরিবেশন করেন, যার কথা ছিল এমন- ‘পূর্ণচন্দ্রে উজ্জ্বল ধরা/ চৌদিকে নক্ষত্রঘেরা/ জনগণের নয়নতারা/ শেখ মুজিবুর রহমান/ জাগ রে জাগ রে মজুর-কৃষাণ।’
গবেষকদের কেউ কেউ মনে করেন এটিই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রথম গান। শাহ আবদুল করিম তার আত্মস্মৃতিতে লিখেছেন, “‘গণসংগীত পরিবেশন করলাম যখন/ এক শত টাকা উপহার দিলেন তখন/ শেখ মুজিব বলেছিলেন সৎ-আনন্দমনে/ আমরা আছি, করিম ভাই আছেন যেখানে’।”
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শাহ আবদুল করিমের লেখা আরেকটি গানের কথা এমন- ‘শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু সবাই কয়, বন্ধু ছিলেন সত্য বটে, আসলে শত্রু নয়।...এনে ছিলেন স্বাধীনতা, তাইতো বলে জাতির পিতা, সাক্ষী দিছে দেশ-জনতা, এই কথা মিথ্যা নয়। শেখ মুজিব জাতির পিতা, করিম বলে নেই সংশয়...’।
একটা সময় সঠিক নেতৃত্বকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতেই ভোটের গানের চর্চা ছিল বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক সাইম রানা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গান তো খুবই প্রভাবশালী একটি মাধ্যম। একসময় রমেশ শীল, ফণী বড়ুয়া, শাহ আবদুল করিমের মত খ্যাতনামা শিল্পীরাও কিন্তু ভোটের গান লিখেছেন যেন জনগণ যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে। সেই গুণী শিল্পীরা যাকে যোগ্য মনে করতেন বা বিশ্বাস করতেন তাদের নিয়ে গান বেঁধেছেন।
“কিন্তু এখন দেখা যায়, প্রার্থীরা টাকা দিয়ে কিছু গান তৈরি করছেন অনেকটা বিজ্ঞাপনের আদলে। ফলে ভোটের গানের যে এথিক্স, সেই এথিক্স থেকে একটু সরে গেছে। এই গানগুলো আসলে বিজ্ঞাপন বা জিঙ্গেলের পর্যায়ে চলে গেছে।”
সাইম রানা বলেন, “ভোটের গানের যে আদর্শ আমরা ৫৪’র নির্বাচন বা ৭০’র নির্বাচন এবং পরবর্তী সময়েও দেখেছি, এখন সেখান থেকে সরে গেছে। ইউরোপেও নির্বাচন বা বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নৈতিকতাকে মুখ্য করে বিভিন্ন গান তৈরি হয়। নির্বাচন কেন্দ্রিক গানগুলো সাধারণত প্যারোডি বা স্যাটায়ার হয়।
“এখন অনেক প্রার্থী আছেন, যারা অসৎ বা তাদের নিয়ে সমাজে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। তারা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত বা দুর্নীতি, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। তাদের নিয়েও যখন প্রশংসাবাক্য বা শুদ্ধ মানুষ হিসেবে তাদেরকে গানের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, তখন একরকম বিভ্রান্তি ছড়ায়। তখন মানুষ গানের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে। এতে করে শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সংগীত কলুষিত হয়, যখন গানটি অসৎ মানুষকে শুদ্ধ মানুষ হিসেবে প্রচারের হাতিয়ার হয়ে ওঠে।”