মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে মমতা শঙ্করের বিয়ে ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু তারিখ ঠিক হওয়ার পরই তা ভেঙে যায়। এখন মমতা মনে করছেন, মিঠুনের ঘরনী না হওয়াটা তার জন্য ভালোই হয়েছে।
প্রায় অর্ধশতক পর অভিজিৎ সেন পরিচালিত ‘প্রজাপতি’তে মিঠুনের সঙ্গে অভিনয়ে আসার আগে আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন মমতা।
ভারতীয় উপমহাদেশে নৃত্যাঙ্গনের দিকপাল উদয় শঙ্করের মেয়ে, পণ্ডিত রবিশঙ্করের ভাস্তি মমতা ৪৭ বছর আগে মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মৃণাল সেনের মৃগয়াতে। ওই সিনেমা ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতেছিল। তখনই তাদের বিয়ের আলোচনা চলছিল।
এখন সিনেমায় নতুন করে জুটি বাঁধার আগে পুরনো সম্পর্ক নিয়ে মমতা বলেন, মিঠুনের সঙ্গ বিয়ে ভেঙে যাওয়াটা ‘যথার্থ’ ছিল। এনিয়ে তার আক্ষেপও নেই।
মমতা পরে বিয়ে করেন চন্দ্রোদয় ঘোষকে, দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসার। আর বলিউডে পাড়ি দেওয়া মিঠুন বিয়ে করেন অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে।
দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে মিঠুনকে অপছন্দের কারণ ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, “ভালো হয়েছে বিয়ে না হয়ে। মিঠুন ভালো মানুষ। তবে মিঠুনকে বিয়ে করলে আমার নাচ, সিনেমা করা সব বন্ধ হয়ে যেত। ও এসব পছন্দ করে না। বউ হলে বাড়িতে থাকবে হবে এই মতবাদে ওর বিশ্বাস। ওর স্ত্রী যোগিতার বেলায় যা হয়েছে আরকি। ওর জন্য যোগিতাই ঠিক ছিল। আর আমার জন্য চন্দ্রোদয়।”
বিয়ে না হলেও মিঠুনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রয়েছে বলে জানান মমতা।
তিনি বলেন, “যোগাযোগটা ছিল আমাদের সব সময়ই। ওর বোনেদের সঙ্গে, মাসিমার সঙ্গে নিয়মিত আমার কথা হয়। মিঠুনের সঙ্গেও তাই।
“দেখা হলেই যেখানে শেষ বার কথা ছেড়েছিলাম সেখান থেকে শুরু হয়। ও আমাকে খুব খেপায়, মজা করে। আসলে একসঙ্গে সিনেমাটাই শুধু করিনি। আমরা এখনো খুব ভালো বন্ধু।”