'বিটিএস'র সাত সদস্যের মধ্যে আরএম, জিমিন, ভি এবং জাংকুক সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ শুরু করতে চান।
Published : 24 Nov 2023, 11:55 AM
সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে এবং নিজেদের ক্যারিয়ার শক্তপোক্ত করতে গত বছর থেকে বিরতিতে আছেন জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতায় সামরিক প্রশিক্ষণে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্যান্ডের আরও চার সদস্য।
সিএনএন বলছে, 'বিটিএস'র সাত সদস্যের মধ্যে আরএম, জিমিন, ভি এবং জাংকুক এবারে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ শুরু করতে চান। এজন্য সামরিক বাহিনীতে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এই চার তরুণ।
এই তথ্য জানিয়েছে বিটিএস'র মিউজিক এজেন্সি 'বিগহিট এন্টারটেইনমেন্ট'।
এক বিবৃতিতে বিগহিট বলছে, " আমরা আমাদের ভক্তদের জানাতে চাই, আরএম, জিমিন, ভি এবং জাংকুক সামরিক তালিকাভুক্তির কাজ শুরু করেছেন। প্রশিক্ষণে যেতে ব্যক্তিগতভাবে নানা ধরনের প্রস্তুতিতে আছেন তারা। নিরাপদে ফিরে আসা পর্যন্ত তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।"
আরএম, জিমিন, ভি এবং জাংকুকের প্রতি সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে 'বিগহিট' পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে।
কোরীয় তরুণদের এই প্রশিক্ষণপর্বের প্রস্তুতি শুরু হয় সাধারণ ১৮ বছর বয়স থেকে। ২০ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয় যে, আদৌ সেই তরুণ সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত কী না। পরীক্ষায় পাস করলে পরে সুবিধাজনক সময়ে টানা ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হয় তরুণদের।
তবে ২০২২ সালে আইন সংশোধন করে বিশেষ ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করে ৩০ বছর করা হয়। এই 'বিশেষ ক্ষেত্রের' মধ্যে পড়েছে বিটিএসের সদস্যরা।
প্রশিক্ষণে যেতে প্রস্তুতি নেওয়া আরএম এর বয়স ২৯ বছর, ২৮ চলছে জিমিন এবং ভির। আর এই চারজনের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট হলে জাংকুক, তার বয়স ২৬ বছর।
বিটিএস সদস্যরা যেন প্রশিক্ষণের সময়ও একসঙ্গে গান গাইতে ছাড় পান, কোরিয়ার বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতাও এমনটা চেয়েছিলেন।
ইতোপূর্বে অলিম্পিক পদক বিজয়ী এবং ক্রীড়া তারকা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী এবং নৃত্যশিল্পীদের এই ধরনের ছাড় দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
তবে বিগহিট বলছে, প্রশিক্ষণে থাকার সময় তাদের গায়কদের কাছ থেকে গান শোনার কোনো ' সৌভাগ্য' হবে না তাদের অনুরাগীদের।
বিটিএস এর সাত সদস্য আরএম, জিন, সুগা, জে-হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুক। গত বছর সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ব্যান্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্য জিনের। আর এপ্রিল মাসে যোগ দিয়েছেন আরেক সদস্য জে-হোপ।
এছাড়া সুগা একজন সোশ্যাল সার্ভিস এজেন্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কেননা তিনি নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য যে শারীরিক যোগ্যতা,সেটি পূরণ করতে পারেননি।
আর এবার বাকি চারজনের সামরিক প্রশিক্ষণে যাওয়ার খবর এসেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বিগহিট এজেন্সির চেয়ারম্যান বলেছিলেন, বিটিএস সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে বলে বৈশ্বিকভাবে কে-পপের যে বৃদ্ধি, সেটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
'বিটিএস'র সাত সদস্যের পথচলার সময় গত এক দশক। ২০১২ সালের ১২ জুন যাত্রা শুরুর পর তাদের ডাকা হত 'পুচকে' নামে।
সে সময় বিটিএসের বেশির ভাগ গান কোরিয়ান ভাষায়, শুরুর দিকে বিটিএসের গানে কোনো সাবটাইটেল থাকত না। পরে ইংরেজিতেও গান শুরু করে তারা। এবং জনপ্রিয়তায় দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।