বিবর্তন যশোরের শিশুরা মঞ্চে আনছে ‘পাগলা দাশু’

শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2023, 02:15 PM
Updated : 17 March 2023, 02:15 PM

বিবর্তন যশোরের ঢাকা ইউনিটের শিশুদের পরিবেশনায় মঞ্চে আসছে ‘পাগলা দাশু’।

সুকুমার রায়ের লেখা থেকে নাট্যরূপ দিয়েছেন মৃন্ময় চক্রবর্তী ও সৈয়দ শাহিনুর রহমান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দ শাহিনুর রহমান।

শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হবে।

বিবর্তন যশোরের ঢাকা ইউনিটের সংগঠক শ্রাবণী সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিবর্তন যশোর ঢাকা ইউনিটের এটা প্রথম প্রযোজনা। এখানে বিভিন্ন বয়সের শিশুকিশোরেরা যুক্ত আছে। আমরা চেয়েছি, আমাদের সন্তানদের মধ্যে একটা যোগাযোগ গড়ে উঠুক। তারা প্রযুক্তির নানা রকম ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে মানুষের সংস্পর্শে থাকুক।"

নাটকের গল্পে দেখা যাবে- দাশরথি বা দাশুকে সবাই পাগলা বলে চেনে। মধ্যপাড়া বিদ্যালয়ে দাশুকে চেনে না এরকম কেউ নেই। দাশু যে কখন কী করবে, কাকে বিপদে ফেলবে, তার জন্য অন্যকে কী ফল ভোগ করতে হবে তা নিয়ে সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে। সবাই দাশুকে কোনো কাজে রাখতে চায় না। কিন্তু সবকিছুতে ওর থাকা চাইই চাই। আর তাতেই যত বিপদ। কারণ দাশু থাকা মানেই উদ্ভট কিছু না কিছু ঘটবেই।

নির্দেশক সৈয়দ শাহিনুর রহমান বলেন, “প্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের হাতের মুঠোয় সমস্ত পৃথিবী। সার্বক্ষণিক ডুবে আছি ভার্চুয়াল জগতে। এই প্রযুক্তি নির্ভরতার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মধ্যে আছে আমাদের শিশুরা। কোভিডকালীন সময় থেকে যার প্রভাব বেড়েছে ভয়াবহভাবে।

"আমি প্রযুক্তির বিপক্ষে নই, কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা কি নিজেদের প্রস্তুত করতে পারছি? জিপিএ ৫ আর ভর্তি যুদ্ধের জন্য কোচিং সেন্টারই শিশুদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এমনকি ছুটির দিনও কোচিং সেন্টারে যেতে হয়। কী করে তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে? আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি না।"

এই নাটকটির মধ্য দিয়ে শিশুদের কিছুটা আনন্দময় সময় তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে শাহিনুর রহমান বলেন, "স্বপ্ন দেখি আমাদের সন্তানদের জন্য নির্ভেজাল আনন্দময় শৈশব আর কৈশোরের।"

নাটকটিতে অভিনয় করবে অদ্রি, মালিহা, সায়ন, প্রত্যুষ, বর্ণ, পৃথু, ওয়াসি, কাব্য, স্বপ্ন, বর্ণ, স্বপ্নীল, মুগ্ধ, লিয়ানা, আফশিন। নাটকটির সংগীত পরিকল্পনা করেছেন শ্রাবণী। বাদ্যযন্ত্রে রয়েছেন পৃথু, বর্ণ, ওয়াসি, স্বপ্ন, অদ্রি। 

পোশাক পরিকল্পনা করেছে তৃণা, সাবন্তী, ঐশী। আলো পরিকল্পনা করেছে সাঈফ মণ্ডল। প্রপস তৈরি করেছে রনি, মোহন, দ্বীপ, নূপুর। এছাড়া মহড়া ব্যবস্থাপনায় আছে আমেনা, লাবনী, রাব্বি ও মিথিলা।