Published : 08 Jun 2024, 11:16 AM
ভোটে জিততে না জিততেই চড়কাণ্ডে আলোচিত বলিউডি অভিনেত্রী বিজেপির এমপি কঙ্গনা রানাউত এবং আলোচিত তাকে চড় মেরে বসা সেই নারী কনস্টেবলও।
চড়কাণ্ডের এই ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া এই পুলিশ সদস্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুরকার সংগীতশিল্পী বিশাল দাদলানি।
তিনি বলেছেন, কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরের চাকরি গেলে চিন্তার কিছু নেই।
আনন্দবাজার লিখেছে, চড়কাণ্ডের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি বলেছেন, “কোনো রকম হিংসার ঘটনা সমর্থন করি না আমি। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর রাগের কারণ বুঝতে পারছি। কুলবিন্দরের জন্য কাজের ব্যবস্থা আমি করেই রেখেছি। পরিস্থিতি তেমন হলে তিনি সে কাজে যোগ দিতে পারবেন। জয় হিন্দ, জয় জওয়ান।”
এদিকে এই ঘটনায় রাভিনা ট্যান্ডন ছাড়া বলিউডের অন্য অভিনয় শিল্পীরা কেন চুপচাপ অর্থাৎ, তাকে সমর্থন করে কেউ কেন কথা বলছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা।
নবনির্বাচিত এমপি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এই ধরনের ঘটনা আপনাদের সন্তানদের সঙ্গেও ঘটতে পারে। যারা এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা উদযাপন করছেন, তারা তৈরি থাকুন আগামী দিনে তাদের সঙ্গেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।”
যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে “চাকরির পরোয়া করি না, মায়ের সম্মান রক্ষায় এমন হাজারো চাকরি ছাড়তে পারি” ভারতজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে এক্সে এমন পোস্ট করেছেন কুলবিন্দর কৌর।
কঙ্গনাকে চড় মারার জেরে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কনস্টেবল কুলবিন্দরকে।
এনডিটিভি জানায়, কৃষক আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের অপমান করে বক্তব্য দেওয়ার কারণেই কঙ্গনাকে চড় মেরেছিলেন কুলবিন্দর।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে বিজেপির টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা। বৃহস্পতিবার চণ্ডিগড় বিমানবন্দরে দিল্লির ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করার সময় তাকে চড় মারার ওই ঘটনা ঘটে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুলবিন্দরকে বরখাস্ত করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় কুলবিন্দরকে।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটির ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর পাঞ্জাবের বাসিন্দা কুলবিন্দর বলেন, ২০২০ সালে মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে বেশকিছু মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি কঙ্গনাকে চড় মারেন।
কুলবিন্দর আরও বলেন, “নারীরা ১০০ টাকায় কৃষক আন্দোলনে গিয়েছিল বলে কঙ্গনা মন্তব্য করেছিলেন। উনি কি সেখানে গিয়ে বসবেন? আমার মা বসেছিলেন সেখানে যখন উনি এমন মন্তব্য করেছিলেন।”
চড় খাওয়া নিয়ে এক্সে কঙ্গনা বলেছেন, ওই নারী কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। তাই তাকে আক্রমণ করেছেন।
একটি ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা বলেন, “চণ্ডিগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির পর আমি যখন বেরোলাম, পাশের একটি কেবিন থেকে এক নারী নিরাপত্তারক্ষী বেরিয়ে এসে আমার গালে থাপ্পড় মারেন। আমাকে গালিগালাজও করেন। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম, কেন উনি এমন করলেন; উনি বললেন, উনি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু পাঞ্জাবে যেভাবে আতঙ্ক ও উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে, সেটি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’’
'মায়ের সম্মানে হাজারো চাকরি ছাড়তে পারি': কঙ্গনাকে মারা কনস্টেবল