জাজ মাল্টিমিডিয়া আবু বকর সবুজ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টির এখনও সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ।
Published : 06 May 2014, 04:15 PM
সবুজের ভাই আলী আকবর মিল্টন গ্লিটজকে জানিয়েছেন, ২৭ এপ্রিলে রাত ১১টায় সবুজের ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে তার তিন বন্ধুর মোবাইল ফোনে এ ‘মুক্তিপণ’ চেয়ে মেসেজ আসে। সে মেসেজে বলা হয়, “পরিচালক শাহীন সুমন ও তার সহযোগীরা আমাকে কিডন্যাপ করেছে। তারা ১০ কোটি টাকা চাইছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে কিছু জানিও না। তারা কিন্তু সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের বিরক্ত করো না। তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে। মুক্তিপণের টাকার জন্য একটা ভারতীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর পাঠানো হবে।”
২৬ এপ্রিল জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান হিসাবরক্ষক আবু বকর সবুজ কর্মস্থলে যাবার পথে নিখোঁজ হন। দিনভর সবুজের ব্যক্তিগত ৩টি মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে সবুজের বাবা মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কর্মকর্তা নিখোঁজের ঘটনায় জাজ মাল্টিমিডিয়ার পক্ষ থেকেও রমনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এসএমএস প্রসঙ্গে শাহীন সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে। ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করতেই কেউ এমন বলছে।”
এ ঘটনায় মিরপুর পুলিশ ১ মে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও শীষ মনোয়ারকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শনিবার আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
বর্তমানে এই মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে।
এদিকে শীষ মনোয়ার গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। রোববার সন্ধ্যায় নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোনতাহেদুল লিটন খন্দকার ‘ষড়যন্ত্র করে শীষ মনোয়ারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন।
“চলচ্চিত্র পরিবারের কিছু মানুষ সময়ে অসময়ে জাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “সবুজ অপহরণের ঘটনায় তার পরিবারের পর জাজ পরিবারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
লিটন জানান, জাজ মাল্টিমিডিয়ার আর্থিক ব্যাপারগুলো সবই সবুজ দেখভাল করতেন। তার অনুপস্থিতিতে জাজ মাল্টিমিডিয়ার তিনটি সিনেমার কাজ ‘আপাতত’ বন্ধ রয়েছে। এগুলো হল সৈকত নাসিরের ‘দেশা’, সাফিউদ্দিন সাফির ‘হানিমুন’ এবং জাকির হোসেন রাজুর ‘অনেক সাধের ময়না’।