ভালো আছি : বিজরী

ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ইন্তেখাব-বিজরী দম্পতি।

অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ ও অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার বিয়ে করেছেন এপ্রিলে। নতুন বাসায় পেতেছেন নতুন সংসার। সেই সংসারের আরেক সদস্য বিজরীর আগের ঘরের মেয়ে উর্বানা। সবমিলিয়ে এখন তারা সংসার গোছাতেই ব্যস্ত। সামনে ঈদ। এই জুটি প্রস্তুতি নিচ্ছেন উৎসব পালনের। দুদিন আগে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন তারা। দুজন দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন। সেসব নিয়ে বিজরী কথা বলেছেন গ্লিটজের সঙ্গে।

গ্লিটজ : ঈদের কাজের খবর কী?

বিজরী : খুব বেশি কাজ করা হয়নি। এবারের ঈদে দর্শকরা আমার বিয়ের আগে করে রাখা কাজগুলোই দেখতে পাবেন। তবে সংসার গোছানোর ফাঁকে সম্প্রতি শুভ্র খানের পরিচালনায় একটা টেলিফিল্মে অভিনয় করেছি। এছাড়া আরও কিছু কাজ করেছি। সেগুলো দেখা যাবে ঈদের পরে।

গ্লিটজ : ঈদ কোথায় করছেন?

বিজরী : আমাদের নতুন বাসা উত্তরায়। আর আমার মায়ের বাসা ইস্কাটনে। দুই পরিবার মিলিয়েই ঈদের দিনটি পার করার পরিকল্পনা করেছি।

গ্লিটজ : বিশেষ আর কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

বিজরী : না, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ঈদের পরে দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

গ্লিটজ : এটা কি হানিমুন ট্রিপ?

বিজরী : না না, হানিমুন ট্রিপ হবে কেন? এমনিতেই বেড়ানোর উদ্দেশে যাব।

গ্লিটজ : কোথায় যাচ্ছেন? কতদিন থাকবেন?

বিজরী : এখনও ঠিক করিনি। এটা ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে। থাকাটাও নির্ভর করছে ভালো লাগার উপরে।

গ্লিটজ : ঈদের কেনাকাটা কি শেষ?

বিজরী : কেনাকাটা করেছি, খুব বেশি কিছু না। এবার প্রচুর উপহার পেয়েছি। নতুন উপহার এবং আগের কেনা পোশাক জমে আছে প্রচুর। আগের অনেক পোশাক আছে যা এখনও ব্যবহার করা হয়নি। সেগুলো ব্যবহার করব ভাবছি। পাশাপাশি দেশের বাইরে যেখানে যাব, সেখান থেকেও কিছু কেনাকাটা করতে পারি।

গ্লিটজ : কেনাকাটার ক্ষেত্রে কোনো ব্র্যান্ড নির্ভরতা বা প্রীতি?

বিজরী : না, ব্র্যান্ডের চাইতে প্রয়োজনটাকে প্রাধান্য দেই আমি। আপাতত প্রয়োজন অনুযায়ী কিনেছি। এর মধ্যে কিছু উপহার দেব। দায়িত্ব পালনের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হয়েছে।

গ্লিটজ : ফেইসবুকে দেখলাম মায়ের বাসায় পাঠানোর জন্য তৈরি হরেক পদের ইফতারির ছবি দিয়েছেন, সব কি আপনিই রান্না করেছেন? কতগুলো পদ ছিল?

বিজরী : হ্যাঁ, অনেক পদ ছিল। তবে কয়েকটি পদ তো বাসায় তৈরি করা মোটেই সহজ না। সেসব বাদে সবই আমি আর আমার শাশুড়ি, দুজনে মিলে রান্না করেছি। আমার শাশুড়ি এদিক থেকে বেশ প্রথা মেনে চলেন। তিনি অনেক রকম রান্নাও জানেন। দুই ছেলেমেয়ের জন্য এসব তৈরি করেন তিনি। সেদিনের ইফতার তার মেয়ের বাড়িতে পাঠানো হয়। আবার আমার মায়ের বাড়িতেও কিছু পাঠানো হয়, যার খানিক অংশের ছবি দিয়েছি ফেইসবুকে।

গ্লিটজ : নতুন সংসার কেমন চলছে এখন?

বিজরী : সব ঠিক আছে, কোনো সমস্যা নেই। বেশ ভালো আছি আমরা।