হলিউডের এই তারকার মুখাবয়ব প্রায় নিখুঁত বলেই দাবি করছেন ব্রিটিশ কসমেটিক সার্জন ড. জুলিয়ান ডে সিলভা।
সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে মামলায় হার, অ্যাকুয়াম্যানের সিকুয়েল থেকে বাদ, সব মিলিয়ে ঝঞ্ঝাটেই রয়েছেন হার্ড।
তার মধ্যেই বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পোস্ট ড. জুলিয়ানের গবেষণার ফল প্রকাশ করল, যেখানে হার্ডের দৈহিক সৌন্দর্যের অনন্যতা তুলে ধরা হল।
সৌন্দর্যের এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব মূলত প্রাচীন গ্রিসে উদ্ভুত। গ্রিক দার্শনিকরা আবিষ্কার করেছিলেন যে প্রকৃতিতে যে সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টিতে ধরা পড়ে, তার পেছনে রয়েছে গণিত। আর সৌন্দর্যের এই অনুপাতের মান ১ দশমিক ৬১৮, যা গ্রিক সংখ্যা ফাই নামে পরিচিত। একেই সাধারণ ভাষায় ‘গোল্ডেন রেশিও’ বা সোনালি অনুপাত বলা হয়।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট লিখেছে, জুরিরা এই হলিউড তারকার বিরুদ্ধে দেড় কোটি ডলার জরিমানার শাস্তি চাপালেও এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে তিনি প্রায় নিখুঁত সুন্দর একটি মুখের অধিকারী, অন্তত বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে।
তার পরীক্ষার ফল বলছে, গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী অ্যাম্বারের মুখ-নকশা নিখুঁতের প্রায় ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কাছাকাছি।
গ্রিকদের হিসাব অনুযায়ী, আমাদের দৃশ্যমান জগতের যে কোন নকশায় সবচেয়ে নিখুঁত সাম্য বা অনুপাতটি ধরা পড়ে গোল্ডেন রেশিওতে। এই অনুপাতের যত কাছাকাছি কোনো নকশা পৌঁছায়, সেটাই আমাদের বেশিরভাগের চোখে সুন্দর হিসেবে ধরা পড়ে।
দে সিলভা অ্যাম্বার হার্ডের চেহারার ১২টি পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি এই তারকার চোখ, নাক, ঠোঁট, চিবুক, কপালসহ মাথার বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণে ২০১৬ সালের অস্কার রেড কার্পেটের একটি ছবি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ফলাফল থেকে দেখা গেছে, অ্যাম্বারের চেহারা গোল্ডেন রেশিওর প্রায় ৯২ শতাংশ কাছাকাছি।
২০১৬ সালে ইউএস উইকলিকে এই সার্জন বলেন, “প্রকৃতিতে যে গোল্ডেন রেশিও বিদ্যমান সেটা গ্রিকরাই প্রথম খুঁজে বের করে। এরপর হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চেহারার গোপন ফর্মুলা হিসেবে টিকে আছে এই ফাই।
লন্ডনের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ফেশিয়াল কসমেটিক অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারির পরিচালক এই শল্য চিকিৎসক অসংখ্য প্রতিষ্ঠিত তারকার চেহারার উপর এই গোল্ডেন রেশিওর ফর্মুলা প্রয়োগ করেছেন।
তার গবেষণার তথ্য বলছে, বর্তমানে বিনোদন জগতের তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে নিখুঁত ভ্রু কিম কারদাশিয়ানের; সবচেয়ে আবেদনময় ঠোঁট এমিলি রাতাজকাওস্কির, কেট মসের ডান কপাল এবং স্কারলেট জোহানসনের চোখ সবচেয়ে সুন্দর।
তবে সার্বিক গড় হিসাব করলে সংখ্যাগতভাবে গোল্ডেন রেশিওর সবচেয়ে কাছাকাছি স্কোর সুপার মডেল বেলা হাদিদের, ৯৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরপর রয়েছেন সঙ্গীত তারকা বিয়ন্সে, অ্যাম্বার হার্ড ও আরেক সঙ্গীত তারকা আরিয়ানা গ্র্যান্ডে।
পুরুষদের মধ্যে ‘ফাই’-এর সবচেয়ে কাছাকাছি স্কোর ব্রিটিশ তারকা রবার্ট প্যাটিনসনের, যা ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ।