বলিউডের কোনো চলচ্চিত্রে নাম লেখানোর আগেই গত বছরের মাঝামাঝি থেকে ‘বলিউডে শাকিব খান’ শিরোনামে সংবাদ চাউর হয় দেশীয় গণমাধ্যমে।
তারও বছর খানেক আগে এ অভিনেতা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি বলিউডের চলচ্চিত্রে ‘চুক্তিবদ্ধ’ হয়েছেন। নিজের চরিত্রের জন্য প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই সহশিল্পী-নির্মাতাদের নাম প্রকাশের ঘোষণা দেওয়ার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ওই খবরের সত্যতা মেলেনি।
চলচ্চিত্র মহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বপ্নের বলিউডে তরী ভেড়াতে মরিয়া এ নায়ক কয়েক বছর ধরেই বেশ যোগাড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। বলিউডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার চেষ্টা করছেন; তবে এখনও কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘সবুজ সঙ্কেত’ পাননি।
যে কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন বলিউডি নির্মাতা হারিশ ব্যাস; গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউডের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র ‘আংরেজি মে কেহতা হ্যায়’র নির্মাতা তিনি। তার এ ছবিতে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় মিশ্র, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, ব্রিজেন্দ্র কালা, অংশুমান ঝা ও একাভলি খান্নার মতো দাপুটে অভিনয়শিল্পীরা।
গত বছরের শুরু থেকেই এ নির্মাতার সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করছেন শাকিব। তার তরফ থেকে একজন সহকারী গত শুক্রবার নমুনা হিসেবে ‘ভাইজান এলো রে’ ও ‘নবাব’ চলচ্চিত্রের ট্রেইলার পাঠিয়েছেন মুম্বাইয়ের এ পরিচালককে।
বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
শুধু শাকিবই নয়, ঢাকার অনেক উঠতি অভিনয়শিল্পীও এর আগে বলিউডের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ‘গল্প’ শুনিয়ে এসেছেন।
ঢাকার চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগেই বলিউডে ইমরান হাশমীর বিপরীতে অভিনয়ের খবর দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন নুসরাত ফারিয়া; সে খবরের স্রোতেই পেয়েছিলেন তারকাখ্যাতিও। দেড় বছর পর জানা যায়, সংবাদটি গুজব ছিল! এ অভিনেত্রী পরে গ্লিটজের কাছে স্বীকার করেন, ছবিতে চুক্তিবদ্ধই হয়নি তিনি।
নুসরাত ফারিয়ার পর নিরব, মম, এডলফ, হিরো আলমসহ আরও অনেকেরই বলিউডের চলচ্চিত্রে অভিনয় খবর গণমাধ্যমে ছড়ালেও এখনও শুটিংয়ের খবর মেলেনি।