বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মো. ছালাহ্ উদ্দিন বলেন, "বাংলাদেশ বেতার জন্মলগ্ন থেকেই বৈষম্যবিরোধী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ বেতারের কর্মীরা বৈষম্যের শিকার।“
Published : 19 Aug 2024, 06:00 PM
শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি এবং বঞ্চনার অবসানসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশ বেতারের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনের সামনে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানবন্ধন থেকে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়।
• বাংলাদেশ বেতারের কর্মীদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করা।
• ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
• একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার বাস্তবায়ন করা।
• বাংলাদেশ বেতার থেকে নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ করা।
• নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি বাতিলপূর্বক পুনঃসংশোধন করা।
• এবং বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উপ-পরিচালক (বার্তা) মুহাম্মদ শরীফুল কাদেরের সই করা বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ বেতারের ৯ম, ১৩তম এবং ১৫তম বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো ৪র্থ গ্রেডে আছেন। এছাড়াও, ২৪তম থেকে ২৭তম বিসিএস এর কর্মকর্তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন যাদের অধিকাংশ ১৪ বছরের বেশি এবং ২৮তম থেকে ৩৫তম বিসিএসের নবম গ্রেডের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রায় ৮ থেকে ১৪ বছর ধরে ‘পদোন্নতি বঞ্চিত’ রয়েছেন।
এই বাস্তবতায় বেতারের চলমান ‘বৈষম্য নিরসন’ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা তৈরির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তাহলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল যে লক্ষ্য, তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
মানবন্ধনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মো. ছালাহ্ উদ্দিন বলেন, "বাংলাদেশ বেতার জন্মলগ্ন থেকেই বৈষম্যবিরোধী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ বেতারের কর্মীরা বৈষম্যের শিকার।“
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব দাবিদাবওয়া মেনে নিয়ে ‘সুন্দর কর্মপরিবেশ’ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বার্তা) এ এস এম জাহিদের অভিযোগ হল, বেতারে তথ্য ক্যাডারের ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি হয় না।
“অনেক কর্মী আছেন, যারা ১৫/১৬ বছর ধরে পদন্নতি বঞ্চিত। এতে কাজের পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে। আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।"
প্রধান প্রকৌশলী মুনীর আহমদ বলেন, "আমরা কিছু দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। এই দাবিগুলোর সুরাহা করে বেতারে কাজের পরিবেশ তৈরি করা হোক।"
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে তারা বিভিন্ন ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ডে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।