সোশাল মিডিয়ায় সংসার ভাঙার এই খবর জানিয়েছেন গায়কের দাম্পত্য সঙ্গী শিল্পী-লেখক মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Published : 20 Aug 2024, 10:37 AM
প্রায় দুই দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ড দল চন্দ্রবিন্দুর গায়ক গীতিকার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের।
আনন্দবাজার লিখেছে, গায়কের দাম্পত্য সঙ্গী শিল্পী-লেখক মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় সংসার ভাঙার এই খবর জানিয়েছেন।
মধুজা রবি ঠাকুরের গানকে সম্বল করে লিখেছেন, “মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।”
অনিন্দ্য-মধুজার বিচ্ছেদের গুঞ্জনটা কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল। যদিও প্রকাশ্যে কখনও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি তারা কেউ। গায়কের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা থেকে দূরে মুম্বাইয়ে থাকছিলেন। এ সবের মাঝে একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আইনি বিচ্ছেদের পথেই তারা এগোলেন।
মধুজা বলেছেন, তাদের বিয়ের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলেও তাদের সন্তান জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি।
“অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে দীর্ঘ ১৪ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে নিয়ে মুম্বাই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল, কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা।
“লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম, বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে, বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’’
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে অনিন্দ্যর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।