উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, “নাটক সমাজ পরিবর্তনে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। নাটক কখনো সাম্প্রদায়িকতা, অধার্মিকতা, উগ্রতা, অত্যাচারকে সমর্থন করে না।“
Published : 28 Jan 2024, 10:37 PM
‘কী ধ্বনি বাজে, গহন চেতনা মাঝে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবের পর্দা উঠল।
রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনের এই উৎসবে প্রথম দিনে দুপুর ১২টায় 'রাধামন ধনপুদি', সন্ধ্যা ৬ টায় 'লেটার টু এ চাইল্ড নেভার বর্ন' নাটকটি মঞ্চায়িত হয়।
সোমবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় একই সময়ে 'রক্ত কদম' ও 'তপস্বী তরঙ্গিনী' এবং মঙ্গলবার একই সময়ে 'মিস জুলি' ও 'জমালয়ে এক বেলা' নাটক দুটি মঞ্চায়িত হবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, “নাটক সমাজ পরিবর্তনে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। নাটক কখনো সাম্প্রদায়িকতা, অধার্মিকতা, উগ্রতা, অত্যাচারকে সমর্থন করে না।
“কোনো নাটক নারী নির্যাতন, অত্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জঙ্গিবাদের মতো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বার্তা দেয় না। নাটক সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলে, নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়।”
অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত একজন অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে না পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নিজেকে সফল বলতে পারবেন না। নাটকটিতে যত ভালো গল্প থাকুন না কেন, যত ভালো সংলাপ হোক না কেন, সেটি ব্যর্থ হয়ে যাবে।”
নাট্যজগতে সফল হতে হলে পরিশ্রম ও লেগে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “একজন নাট্যকারকে তার চরিত্রের ভেতর ঢুকে যেতে হবে। তবে সে নাটকটি সফল হবে, পাশাপাশি চরিত্রটিও সফল হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরিফিকেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম।