এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বশেষ সিনেমা 'দ্য ম্যাটিক্স রেজারেকশনস বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে না পারলেও 'ম্যাট্রিক্স ফাইভ' এর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
Published : 06 Apr 2024, 11:41 AM
আড়াই দশকে হলিউডি সিনেমা 'দ্য ম্যাট্রিক্স' এর চারটি পর্ব মুক্তি পেয়েছে। এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বশেষ সিনেমা 'দ্য ম্যাটিক্স নেজরেকশনস’ বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে না পারলেও 'ম্যাট্রিক্স ফাইভ' এর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
ভ্যারাইটি লিখেছে, এই সিরিজের সাফল্যের অন্যতম কারণ অভিনেতা কিয়ানু রিভস। তবে পঞ্চম সিনেমায় 'নিও' চরিত্রে কিয়ানু রিভস ফিরছেন কি না, তা স্পষ্ট হয়নি।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'দ্য মার্শিয়ান' খ্যাত অস্কারজয়ী নির্মাতা ড্রিউ গডার্ড 'ম্যাট্রিক্স ফাইভ' পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। অর্থাৎ, প্রথমবারের মত ম্যাট্রিক্স পরিচালনায় থাকছেন না লানা ওয়াচোস্কি ও লিলি ওয়াচোস্কি।
তবে লানা ওয়াচোস্কি নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকবেন। সিনেমার নামধাম বা মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স মোশন পিকচার্সের প্রযোজনা প্রধান জেসি এহরম্যান বলেন,"ড্রিউ গডার্ড ম্যাট্রিক্স ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দারুণ একটি আইডিয়া নিয়ে এসেছেন। ২৫ বছর আগে যা শুরু হয়েছিল, তার প্রতি সম্মান রেখে, সিরিজ এবং চরিত্রগুলো নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী কাহিনী গডার্ড নিয়ে আসবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।"
গডার্ড বলেন, “মানব জীবনে এই সিনেমার প্রভাব মারাত্মক। সিনেমার সূক্ষ্ম শৈল্পিকতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। এ কাজের সুযোগ আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আগের নির্মাতা লানা ও লিলির জগতে গল্প বলার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।"
১৯৯৯ সালে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী আর ধুন্ধুমার অ্যাকশন দিয়ে আলোড়ন তুলেছিল ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’। এরপর ২০০৩ সালের মার্চে আসে দ্বিতীয় পর্ব 'দ্য ম্যাট্রিক্স রিলোডেড'।
২০০৩ সালের নভেম্বরে আসে তৃতীয় পর্ব 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেভল্যুশন' এবং সর্বশেষ পর্ব 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশন' মুক্তি পায় ২০২১ সালে।
প্রতিটি সিনেমায় প্রধান চরিত্র নিওর ভূমিকায় ছিলেন কিয়ানু রিভস। সর্বশেষ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ভালো-মন্দ দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই আছে। ১৯০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের বিপরীতে সিনেমাটি আয় করে মাত্র ১৫৭ মিলিয়ন ডলার।
সিনেমার মূল কাহিনী শুরু নিও (কিয়ানু রিভস) নামের এক কম্পিউটার হ্যাকারের সাথে মরফিউস নামের আরেক হ্যাকারের যোগাযোগকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
নিওকে ২০০ বছরের পরের পৃথিবীতে নিয়ে যায় মরফিউস, যেখানে যন্ত্র বনাম মানুষের যুদ্ধ চলে। ওই পৃথিবীতে মানুষকে ব্যবহার করা হয় যন্ত্রের জ্বালানি হিসেবে।
গল্পে দেখানো হয়, প্রত্যেক মানুষের মাথার পিছনে একটি কম্পিউটার কেবল দিয়ে যুক্ত করা আছে। ওই কেবল দিয়েই মানুষকে কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মানুষ বসবাস করে একটি ভার্চুয়াল জগতে। ওই ভার্চুয়াল জগৎটাই মূলত 'দ্য ম্যাট্রিক্স'।