ভারতরত্ন পুরস্কারজয়ী লতা মঙ্গেশকর বরাবরই ভগবান তিরুপতির একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন।
Published : 11 Oct 2023, 11:11 PM
বলিউডের ‘নাইটিঙ্গেল’, প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়েছে অবশেষে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিরুপতি বালাজি ট্রাস্টে ১০ লাখ রুপি দান করেছে তার পরিবার।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, অনুদানের বিষয়টি জানিয়ে তিরুপতি ট্রাস্টকে একটি চিঠি দিয়েছে লতার পরিবার। সেখানেই বলা হয়েছে, লতার মৃত্যুর পর যেন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানামকে ১০ লাখ রুপি দান করা হয়, সেটাই ছিল সুর সম্রাজ্ঞীর শেষ ইচ্ছা।
লতার বোন ঊষা মঙ্গেশকর কিছুদিন আগে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম এর মুম্বাই প্রতিনিধি মিলিন্দ কেশব নার্ভেকরকে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ অনুদানের অর্থ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সারার জন্য অনুরোধ করেন। তারপর মিলিন্দ অনুদানের চেক পৌঁছে দেন।
ভারতরত্ন পুরস্কারজয়ী লতা মঙ্গেশকর বরাবরই ভগবান তিরুপতির একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ইন্দোরে লতা মঙ্গেশকরের জন্ম। আগে নাম ছিল হেমা। তবে মৃত বড় বোনের নাম লতিকা হওয়ায় তার নাম হয়ে যায় লতা।
চিরন্তন লতা মঙ্গেশকর: ছবিতে স্মরণ কিংবদন্তিকে
১৯৪২ সালে বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরতে গানকেই বেছে নেন লতা। দীননাথ ছিলেন ক্লাসিক্যাল শিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা।
লতা বলিউডে প্রথম বড় সুযোগ পান ১৯৪৮ সালের ‘মজবুর’ সিনেমায়। সেখানে গেয়েছিলেন ‘দিল মেরা তোড়া’। তবে পরের বছর মহল সিনেমাতে ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গেয়ে মাত করে দেন সবাইকে। পরের কয়েক দশক লতার গানের মূর্চ্ছনা মুগ্ধ করে রাখে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশকে।
বাংলা, হিন্দি, মারাঠিসহ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে লতার ঝুলিতে জমে ৩৬ ভাষায় অসংখ্য ঘরানার অন্তত ৩০ হাজার গান। কণ্ঠ দিয়েছেন এক হাজারের বেশি সিনেমায়।
আকাশছোঁয়া খ্যাতির পথে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ১৯৮৯ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পীকে ১৯৬৯ সালেই ‘পদ্মভূষণে’ ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। ১৯৯৯ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ এবং ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হয় তাকে।