জয়া আহসানের বিউটি সার্কাস আসছে ২৩ সেপ্টেম্বর

এই সিনেমায় জয়া আহসান হয়েছেন সার্কাসকন্যা।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের হাতে বিউটি সার্কাস’র পোস্টার তুলে দেন নির্মাতা মাহমুদ দিদার।

অবশেষে চূড়ান্ত হল ‘বিউটি সার্কাস’ এর মুক্তির দিন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক মাহমুদ দিদার।

সরকারি অনুদানের এই চলচ্চিত্রে জয়া আহসান সেজেছেন সার্কাসকন্যা ‘বিউটি’ রূপে।

বুধবার রাতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের হাতে চলচ্চিত্রটির পোস্টার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন এর নির্মাতা।

মাহমুদ দিদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তির আগেই ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা অভাবনীয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হতে যাচ্ছে।

“যেহেতু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, সে কারণেই সরকারের প্রতি দায়বোধ থেকে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর হাতে আমার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্রটির অফিসিয়াল পোস্টারটি উপহার দিই।”

বৃহস্পতিবার রাতে সোশাল মিডিয়ায় চলচ্চিত্রটির পোস্টার উন্মোচিত হবে।

দিদার বলেন, “আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আশা করছি, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক এই দারুণ চলচ্চিত্রটি দর্শক উপভোগ করবেন সিনেমা হলে গিয়ে।”

২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি নিবেদন করছে বসুন্ধরা গুঁড়া মশলা।

২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশালযজ্ঞে দুইশ জনের নির্মাণসঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করেন বলেও জানান।

‘বিউটি সার্কাস’-এর গল্পটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ: সেলিনা হোসেন

২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে। এরপর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পিছিয়ে যায় মুক্তি।

এই সিনেমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন ঢাকা-কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি।

বিউটি সার্কাস প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, “আমি বলব, এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি। অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে আপনি আগে কোনোদিন যাননি; আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দেয় যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন।

“এমনি একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল সার্কাস- প্রদর্শনকারী সেজে। তাও আবার এক জম্পেশ সার্কাসের স্টেজে! সার্কাস এর এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি বলে।”

এই অভিনেত্রী বলেন, “এটি একটি বিগ ফিল্ম। নির্মাতা মাহমুদ দিদার যে আয়োজন করে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন, তার তুলনা হয় না। বিশাল আয়োজনে সত্যিকারের সার্কাস তাঁবুর নিচে শুটিং অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল। চলচ্চিত্রটির জন্য শুভকামনা জানাই।”
এই সিনেমায় ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি গান। গানগুলো গেয়েছেন চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমী, অ্যাশেজ ব্যান্ডের ইভান ও টুনটুন বাউল।