শুক্রবার থেকেই সিনেমাগুলো দেখা যাবে।
Published : 13 Jun 2024, 07:45 PM
ঈদ উপলক্ষে স্টার সিনেপ্লেক্সে একসঙ্গে মুক্তি পাবে তিনটি বিদেশি সিনেমা।
শুক্রবার থেকেই সিনেমাগুলো দেখা যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশের বৃহৎ এই মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
গত ৭ জুন ‘ব্যাড বয়েজ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন সিনেমা ‘ব্যাড বয়েজ: রাইড অর ডাই’ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে। উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্স অভিনীত এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন আদিল এল আরবি ও বিলাল ফালাহ। ঈদের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে স্টার সিনেপ্লেক্সে থাকবে সিনেমাটি।
এ ছাড়া ইশানা নাইট শ্যামলন নির্মিত হরর সিনেমা ‘দ্য ওয়াচার্স’ এবং জাপানের ‘হাইকু: দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’ দর্শকদের সামনে আনছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
অ্যাকশন-কমেডি সিনেমা হিসেবে ‘ব্যাড বয়েজ’ আলাদা দর্শকশ্রেণি তৈরি করেছে। এর আগে এই সিরিজের তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সবগুলোই দর্শকদের সাড়া পেয়েছে। এবার পর্দায় এসেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ সিনেমা ‘ব্যাড বয়েজ : রাইড অর ডাই’।
আগের তিন কিস্তির মত এখানেও প্রধান চরিত্র ব্যাড বয়েজের ভূমিকায় থাকছেন উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্স। আরো একবার তাদের হাস্যরস আর মারমুখী রসায়ন দেখবে দর্শক। অভিনয়ে আরও আছেন ভেনেসা হুগেনস, আলেকজান্ডার লাডউইগ, এরিক ডেন।
১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে কলম্বিয়া পিকচার্স। পরিবেশনায় সনি পিকচার্স।
অন্যদিকে ‘দ্য ওয়াচার্স’ অতিপ্রাকৃত ভৌতিক সিনেমা। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে হলিউডের সিনেমা পরিচালনায় অভিষেক হয়েছে ইশানা নাইট শ্যামলনের। এর আগে অ্যাপল টিভি প্লাসের ‘সারভেন্ট’ সিরিজের কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনার জন্য তিনি প্রশংসা পান।
জাপানি অ্যানিমে সিনেমা ‘হাইকু: দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’ গেল ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায়। ক্রীড়াভিত্তিক এই সিনেমা বাংলাদেশে নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স। সুসুমু মিতসুনাকা পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আয়ুমু মুরাসে, কাইতো ইশিকাওয়া, ইউকি কাজি এবং ইউইচি নাকামুরা।
স্টার সিনেপ্লেক্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যানিমে মূলত অ্যানিমেশন ইন জাপান-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। জাপানিজ অ্যানিমেকে অনেকেই কার্টুন ভেবে ভুল করে থাকেন। আসলে এটি জাপানের বড় একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। একশ বছরের বেশি সময় ধরে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছে অসংখ্য অ্যানিমে সিরিজ।
অ্যানিমেশন বলে অনেকে এই অ্যানিমেগুলোকে শিশুদের জন্য বানানো ভেবেও ভুল করে থাকেন। আসলে জাপানি অ্যানিমেশন এখন বয়স, লিঙ্গ, জাতির সীমানা ছাড়িয়ে সবার বিনোদনের উৎসে পরিণত হয়েছে।