Published : 13 Sep 2024, 12:33 PM
বলিউডি তারকা শাহরুখ খান একবার বলেছিলেন, ক্যারিয়ারের মাঝামাঝিতে তারকা খ্যাতিতে তিনি যখন উড়ছিলেন, নিজেকে বিরাট কিছু ভাবতে শুরু করেছিলেন, তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে পা রাখার পর দেশটির ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার তারকা হওয়ার গৌরব এক নিমেষেই ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেন।
গুরুগম্ভীর কোনো অনুষ্ঠান বা নিছক আড্ডার শোসহ বহু জায়গায় শাহরুখ তার এ ধরনের চাতুর্যপূর্ণ রসিকতার জন্য সুপরিচিত। এই নায়কের ভাষ্য, স্ত্রী গৌরী খান তার এই ‘সেন্স অব হিউমার’ দেখে তার প্রেমে পড়েছিলেন।
তবে কেবল গৌরী নন, শাহরুখের এমন অনেক ভক্ত আছেন, যারা তাকে অভিনেতা হিসেবে ফুল মার্কস না দিলেও তার রসবোধের প্রশংসা করেন মন খুলে।
নিউজ ১৮ লিখেছে, ভক্তদের সামনে শাহরুখ তার অতীতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা যতটা হাসিঠাট্টার সঙ্গে বর্ণনা করেন, আদতে সেই গল্পগুলো অতটা মধুময় কোনো স্মৃতি নয়। কিন্তু শাহরুখের স্বভাবসুলভ রসিকতায় তার অনেক তিক্ত বা যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিও মজার গল্পে ধরা দেয়।
কয়েকদিন আগে এক্সে ‘এসআরকে’ সেশনে আসা শাহরুখকে পাওয়া গেল হাসিঠাট্টার মেজাজে। সেখানে এক ভক্তের কৌতুহল জাগে, নায়ক না হলে শাহরুখ কী হতেন?
শাহরুখের চটজলদি উত্তর, “কেন জানেন না? ওহ বলা হয়নি বুঝি! আমার তো ট্রাকের চালক হওয়ার কথা ছিল।”
ব্যস হাসির হুল্লোড় ওঠে ওই সেশনে।
পরের প্রশ্ন, স্কুলের পাঠ্যক্রমে কি যৌনশিক্ষা রাখা উচিত? এই প্রশ্নেও শাহরুখের জবাব মনে ধরে যায় অনেকের।
কিং খান বলেন, “কেন নয়। আমার তো ওই একটি বিষয়েই আগ্রহ ছিল। আমার মত অনেকের এই বিষয়টি দারুণ পছন্দ। যে কোনো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। ছেলেমেয়েরা যৌনশিক্ষা নিয়েই আগ্রহী। অন্য কোনো ধরনের শিক্ষা তো স্কুলে দেওয়াই হয় না!”
অনুরাগীরা এই সেশনে আরেকটি বহুল চর্চিত প্রশ্ন করেন। তারা জানতে চান কীভাবে অনায়াসে নারীদের মন জয় করেন শাহরুখ?
তিনি বলেন, “নারীদের মধ্যেই সব ভালো কিছু খুঁজে পাই। আমি চাই নারীরা আমাকে ঘিরে থাকুক। নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব খুব পছন্দ করি এব সেটা লুকিয়েও রাখি না। কিন্তু তাদের প্রতি আমার ভালবাসাটা আসলে সম্মানের। অথবা ভালবাসি মানেই সম্পর্কে জড়াতে হবে, এমনও নয়।”