আইসবার্গটির আয়তন ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার, যা আকারে গ্রেটার লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি।
Published : 24 Nov 2023, 03:35 PM
উষ্ণায়নে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার খবর পুরনো; জলবায়ু পরিবর্তনে এর বাইরেও সেখানে ঘটছে নানা পরিবর্তন।
তিন দশক আগে অ্যান্টার্কটিক উপকূলরেখা থেকে যে আইসবার্গ বা হিমশৈল আলাদা হয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে ঠেকেছিল, সেটি এখন আবার নড়াচড়া শুরু করেছে।
‘এ২৩এ’ নামের ওই বিশালকার বরফখণ্ডকে বলা হয় পৃথিবীর বৃহত্তম আইসবার্গ। ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিক উপকূলরেখা থেকে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর দ্রুত সরে গিয়ে ওয়েডেল সাগরের মাঝে আটকে বরফ দ্বীপে পরিণত হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, আইসবার্গটির আয়তন ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা আকারে গ্রেটার লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর এটিকে বেশ গতিতেই সরে যেতে দেখা গেছে। আর এখন এর বরফ গলতেও শুরু করেছে।
আইসবার্গটি কেবল চওড়াতেই বিশাল নয়; এর পুরুত্ব ৪০০ মিটার বা ১ হাজার ৩২০ ফুট। যেখানে ইউরোপের সবথেকে উঁচু টাওয়ার লন্ডন শার্ডের উচ্চতা ৩১০ মিটার।
‘এ২৩এ’ হোয়াইট কন্টিনেন্টের ফিলচার আইস শেলফের অংশ ছিল। ওই সময়ে সোভিয়েত ঘাঁটি দ্রুজনায়া-১ ছিল সেখানে। এটি একসময় হারিয়ে যাবে ভেবে মস্কো সেখান থেকে সরঞ্জাম অপসারণের অভিযানও চালিয়েছিল।
কিন্তু উপরে সমতল ও চারাপাশে খাড়া ঢাল আকৃতির এই হিমশৈলের তলা ওয়েডেল সাগরের তলদেশের সঙ্গে শক্তভাবে লেগে থাকার কারণে সেটি সরে যায়নি।
কিন্তু এতদিন সরে না গেলেও প্রায় ৪০ বছর পর কেন আইসবার্গটি সরে যাচ্ছে, সেটিই এখন এখন চিন্তার কারণ বিজ্ঞানীদের।
ব্রিটিশ দূর-অনুধাবন বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং বলেন, “আমি কয়েকজন সহকর্মীকে এই বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ভাবছিলাম সেখানে পানিতে তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন এর নড়াচড়ার কারণ হতে পারে কিনা। কিন্তু সবার মতামত হল, সেই সময়টি চলে এসেছে।”
তার ভাষ্য, “১৯৮৬ সালে এটি জায়গা বদল করে। কিন্তু এর আয়তন কমতে শুরু করেছে। ফলে সাগরের তলদেশের সঙ্গে আর পোক্তভাবে আটকে থাকছে না। নড়তে শুরু করেছে।”
২০২০ সালে আইসবার্গটিকে প্রথম সরে যেতে দেখেছেন বলে জানান এই গবেষক।