“এই সমঝোতা স্থানীয় ভ্যালু চেইনকে উন্নত করতে, আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহায়তা করতে এবং চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের সার্কুলারটি বাড়াতে সাহায্য করবে,” বলেন মেয়র রেজাউল।
Published : 22 Jun 2023, 09:55 PM
প্লাস্টিক সার্কুলারিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের বিষয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল অ্যাকশন (ইপসা) সমঝোতায় পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) হওয়ার কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইউনিলিভার।
এতে বলা হয়, এ চুক্তির আওতায় ইউনিলিভার ও ইপসা চট্টগ্রামের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে চায়।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রামের খালগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যের বিধ্বংসী প্রভাবে ভুগছে, যার ফলে মাছ মারা যাচ্ছে, জমি অনুর্বর হচ্ছে এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কর্ণফুলী নদী একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এই সমঝোতা স্থানীয় ভ্যালু চেইনকে উন্নত করতে, আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহায়তা করতে এবং চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের সার্কুলারটি বাড়াতে সাহায্য করবে।”
ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিইও ও এমডি জাভেদ আখতার বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে ৭০০০ টনেরও বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করেছি এবং সংগৃহীত প্লাস্টিকের শতভাগ পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করেছি, তবে এটি যথেষ্ট নয়। তাই আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ইপসার সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি।”
ইয়ং পাওয়ার ইন এ্যাকশনের (ইপসা) সিইও আরিফুর রহমান বলেন, “প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করা আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের শহরের পরিবেশ রক্ষায় এবং সাসটেইনেবল প্র্যাকটিস চর্চায় এই উদ্যোগ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিইও জাভেদ আখতার এবং ইপসা সিইও আরিফুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।