‘বড় উদ্বেগে’ গুরুত্ব দিয়েই বাজেট: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

“মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হচ্ছে বলেই আগামী বছরের জন্য খুব বড় বাজেট করা যাচ্ছে না। সরকারি ব্যয় বাড়াতে গেলেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।”

জাফর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2023, 04:08 AM
Updated : 31 May 2023, 04:08 AM

‘জনগণের বড় উদ্বেগের জায়গা’ মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং প্রবৃদ্ধিকে প্রধান লক্ষ্য ধরে আগামী অর্থবছরের বাজেট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

তিনি বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় এবার বাজেটের আকার জিডিপির অনুপাতে আগের চেয়ে বাড়ানো হচ্ছে না।

আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় সরকার, সেজন্য বাজেটে পদক্ষেপ থাকবে।   

ভর্তুকি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফের চাপ থাকলেও কৃষিতে ভর্তুকি না কমিয়ে উল্টো বাড়ানোর চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী দাবি করেছেন, আইএমএফ এর শর্ত এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে টানা তিনটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ভূমিকা রেখেছেন অর্থনীতিবিদ শামসুল আলম। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি কমানো

নির্বাচনী বছরের এই বাজেটে গুরুত্ব কোথায় থাকবে, এই প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু সবার কাছে মূল্যস্ফীতি একটি বড় উদ্বেগের জায়গা, তাই সেটাকে গুরুত্ব দিয়েই চিন্তা করছি যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। জনগণের জন্য এটাই বড় উপহার হবে।”

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচককে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশে। আর পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

নির্বাচনের বছরে জনগণের সন্তুষ্টির জন্য কী থাকছে, জানতে চাইলে শামসুল আলম বলেন, “আলাদা করে কিছু থাকছে না। সরকার এত বছর ধরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প এ বছরের শেষের দিকে উদ্বোধন করা হবে। এগুলোই নির্বাচনী উপহার।

“আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যেসব মেগা প্রকল্প উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সেসব প্রকল্প দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা ও স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নই আমাদের নির্বাচনের চমক।”

জিডিপির অনুপাতে বাজেটের আকার বড় হচ্ছে না

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার। সেই অংক বাড়তে বাড়তে ২৯২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা হয়।

বিদায়ী অর্থবছরের এই বাজেট ছিল জিডিপির ১৫ শতাংশ। আনুপাতিক হারে এবারও তা একই রকম থাকছে। তাতে বাজেটের আকার দাঁড়াতে পারে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার মত।  

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে ‘প্রধান চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিতে হচ্ছে বলেই আগামী বছরের জন্য খুব বড় বাজেট করা যাচ্ছে না।  

“সরকারি ব্যয় বাড়াতে গেলেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সরকার যত বেশি ব্যয় করবে, সংশ্লিষ্ট মানুষের আয় ততই বেড়ে যায়। তার সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যায়।”

তিনি বলেন, “দেশীয় শিল্প, কৃষি এবং সেবা খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে বাজেট তৈরি করা হচ্ছে। বিনিয়োগ যেন অব্যাহত থাকে, যাতে প্রবৃদ্ধিটা বাড়তে পারে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।”

বাজেট না বাড়লেও সমস্যা হওয়ার কারণ নেই মন্তব্য করে শামসুল আলম বলেন, “অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৩ শতাংশের বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা থাকলেও এখনও আমরা ২ শতাংশও ব্যয় করতে পারিনি।

“এখন দেখছি বরাদ্দের চেয়ে ব্যয় দক্ষতা বাড়ানোই বেশি জরুরি। দক্ষতা না বাড়াতে পারলে বরাদ্দ দিয়ে তো লাভ হবে না। এখন যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তার ২০ শতাংশ থেকে যাচ্ছে। সুতরাং এখন বরাদ্দের চেয়ে ব্যয়ের বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।”

কৃচ্ছ্র সাধনে ‘বিনিয়োগ কমবে না’

সরকার কৃচ্ছ্রতার নীতি নিলেও তাতে বিনিয়োগ কমার আশঙ্কা করছেন না পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে সরকারিভাবে বিশাল দল হজে যেত। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে যাওয়ায়ও কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। কিন্তু এখন বিদেশভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে রিজার্ভ ধরে রাখা এর উদ্দেশ্য।

“এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা ব্যবসা বাণিজ্য করেন তাদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এটা বরং দেশের জন্যই ভালো।”

রিজার্ভ ধরে রাখতে বাজেটে কী ব্যবস্থা থাকছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রিজার্ভ নিয়ে সংকট কেটে গেছে। রিজার্ভ একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। এটা ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে না, বরং উপরে উঠবে।”

ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি নিয়ে সরকার সতর্ক ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছুটা সাশ্রয়ী হয়েছি, আমদানি কমাতে হয়েছে। সবকিছু মিলে আমরা কাটিয়ে উঠছি। এখন আবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস পাওয়া গেছে। এই গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে ঢাকায় আনব। কাতারের সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে। সুতরাং আমাদের জ্বালানি নিয়ে সমস্যা হবে না।”

মাথায় ইউক্রেইন যুদ্ধ

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধকে মাথায় রেখেই এ বাজেট করা হচ্ছে বলেও জানান শামসুল আলম।

তিনি বলেন, “কোভিড মহামারী কাটিয়ে আমাদের অর্থনীতির পুনরুত্থান ঘটছিল। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হল। এই যুদ্ধটা বিষয়টাকে জটিল করে তোলে, সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

“এই যুদ্ধ আমাদের ওপর ভয়াবহ একটা আঘাত নিয়ে আসে। আমাদের গমের ৪০ শতাংশই ইউক্রেইন থেকে আনা হত। এই যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পণ্য চলাচলে বাধা হল। এতে মূল্যস্ফীতি আরও বহুগুণে বেড়ে গেল।

“কোনো কোনো পণ্যের দাম দেড়শ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। জ্বালানি তেলের দামও বিপুল বেড়ে যায়। এর ফলে সব দেশেই অতি মূল্যস্ফীতি শুরু হয়।”

যুদ্ধ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ঘন ঘন এবং দ্রুত সুদের হার বাড়াতে থাকার কারণেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে মনে করে প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “যুদ্ধের কারণে তাদের ডলারের প্রয়োজন পড়ে। ওই প্রয়োজন মেটাতে ডলার আমেরিকামুখী করার উদ্দেশ্যেই এই নীতি (সুদের হার) গ্রহণ করা হয়। ফলে বিভিন্ন দেশে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। দামও বাড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও ৮৫ টাকার ডলার ১১০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।

“ওই অতিরিক্ত দামেই দেশে আমদানি পণ্য বিক্রি করতে হয়। যার কারণে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।”

মন্দার ‘শঙ্কা নেই’

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বমন্দার পূর্বাভাস দিলেও বাংলাদেশে মন্দার কোনো আশঙ্কা দেখছেন না শামসুল আলম। তিনি বলেন, “আমরা মন্দায় নিপতিত হব না। তার মূল কারণ হল গত কয়েক বছরে আমাদের কর্মসংস্থান বেড়েছে।

“২০১৬-১৭ অর্থবছরের খানা আয় ব্যয় জরিপ অনুযায়ী সেই সময়ে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ এ প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী সেটি এই যুদ্ধকালীন সময়েও নেমে হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তার মানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যার জন্য বেকারত্ব কমেছে। আবার মজুরির হারও বাড়ছে। তাই আমাদের মন্দার সুযোগ নেই।”

কৃষি ভর্তুকি ‘কমবে না’

আইএমএফ এর কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার সময় জ্বালানির দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোসহ আর্থিক খাতের সংস্কারে বেশ কিছু শর্তে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

তবে সব খাতে ভর্তুকি কমাতে হবে না জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আইএমএফ যাই বলুক, কৃষি খাতে আমাদের ভর্তুকি কমবে না। দরিদ্র মানুষকে যেসব সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তাতেও ভর্তুকি কমবে না। সস্তা দামে জিনিসপত্র পাওয়ার জন্য এক কোটি মানুষকে যে ‘পরিবার কার্ড’ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতেও ভর্তুকি কমবে না। এসব খাতে উল্টো ভর্তুকি বাড়ানোর চেষ্টা করব।”

বিদায়ী অর্থবছরে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার মত, যা জিডিপির ৩.৯ শতাংশ। এবার তা বেড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস মিলেছে। 

তবে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জ্বালানির দামটা কিছুটা সমন্বয় করতে হবে।”

তার ভাষ্য, ‘উচ্চবিত্ত শ্রেণিই’ বেশি বেশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাই সেখানে ভর্তুকি ‘যুক্তিযুক্ত’ করার চেষ্টা করা হবে।

বৈষম্য বনাম প্রবৃদ্ধি

দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও বৈষম্য আরও প্রকট হওয়া নিয়ে যে সমালোচনা গবেষকরা করে থাকেন, সে বিষয়টিও আসে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায়।

শামসুল আলম বলেন, দেশে প্রতি বছর দশমিক ০৩ শতাংশ হারে বৈষম্য বৃদ্ধিকে অর্থনীতিবিদ হিসেবে খুব একটা ‘বিসদৃশ বা অসহনীয়’ বলে তিনি মনে করেন না। 

“প্রবৃদ্ধিকালে যখন অর্থনীতি এগিয়ে যায়, তখন উচ্চ ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণি এগিয়ে যায়। এই দুই শ্রেণিই বিনিয়োগ ও আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটায়। সুতরাং সামান্য বৈষম্যের জন্য আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থামিয়ে দিতে পারব না, দেওয়া উচিতও নয়।”

তবে বৈষম্য কমাতে সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যারা অতিরিক্ত সম্পদ সৃষ্টি করছে, ট্যাক্সের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে নিয়ে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হবে।

“সে জন্যই আমরা দেশ থেকে দারিদ্র্য কমাতে ১২০টির মত কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। সেই কারণেই আমারা ফ্যমিলি কার্ড, ভাতা বাড়াচ্ছি, স্কুলে বই দিচ্ছি, উপবৃত্তি দিচ্ছি এবং এসব ভাতা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রত্যেকটা উপজেলায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার প্রান্তিক মানুষ এসব ভাতা পাচ্ছেন।”

সারা দেশে যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলায় মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মানুষের আয় বাড়ছে, জীবনমান উন্নত হচ্ছে। গণনার দিক থেকে আয় বৈষম্য হিসাব করে দেখানো যায়, কিন্তু দৃশ্যমান বৈষম্য খুব বেশি না।

“এখনকার দরিদ্র আর আগের মত নয়। এখন আর কাউকে খালি গায়ে দেখা যায় না। যিনি ভিক্ষা করেন, তাকেও পরিচ্ছন্ন শাড়ি পরতে দেখা যাচ্ছে। যারা দরিদ্র, তারাও ছোট্ট হলেও একটা ফ্রিজ রাখেন। সেই কুঁড়ে ঘর প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। হয়ত টিনের ঘর, নয়ত একতলা বিল্ডিং।”

পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপাত্ত ‍তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, “বেকারত্ব শুধু শহরে, গ্রাম এলাকায় নেই। এর মানে দরিদ্র মানুষ কাজ পাচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির যে কৌশল আমরা নিয়েছি, তার কারণে দরিদ্র মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।”