পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি ইউনিট চালু আছে, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে জুনের প্রথম সপ্তাহে।
Published : 28 May 2023, 07:58 PM
কয়লা সংকটে বন্ধ হতে চলছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশে সর্ববৃহৎ।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অংশীদারিত্বে নির্মিত পটুয়াখালীর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলছে আমদানি করা কয়লা দিয়েছে।
তবে এখন কয়লা সংকটের কারণে দুদিন ধরে একটি উৎপাদন ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী ৩ জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ খোরশেদুল আলম।
তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডলার সংকট থেকে কয়লার সংকট এবং সেই সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
“আমাদের কয়লা শেষ হয়ে গেছে। আমরা ডলার সংকটের কারণে পেমেন্ট করতে পরছিলাম না। তবে কিছু পেইমেন্ট করেছি, কিছু পেইমেন্ট এই মাসে করব। তারপর আমাদের এটা চালু হবে।”
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট ২০২০ সালের ১৫ মে চালু হয়। ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে।
দুটি ইউনিট পূর্ণমাত্রায় চালাতে সেখানে দৈনিক সর্বোচ্চ ১২ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। ১০ বছর মেয়াদি চুক্তিতে ইন্দোনেশিয়া এই কয়লা সরবরাহ করে আসছে।
গত কয়েক মাসে তীব্র লোডশেডিংয়ের সময় দৈনিক এক হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি পরিমাণ উৎপাদন করে দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রেখেছিল পায়রার আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
তবে গত এক সপ্তাহ ধরে উৎপাদন ধীরে ধীরে কমছিল। সর্বশেষ গত ২৭ মে এর একটি ইউনিট থেকে ২৫০ মেগাওয়াট থেকে ৩৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল বলেন, “আগামী ৩ জুনের মধ্যে আমাদের দুটি উৎপাদন ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। কালকে থেকেই এলসি ওপেন করা গেলে জুনের ২২/২৩ তারিখের দিকে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”
আগে থেকে কেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই ডলার সমস্যা, তা সমাধানের আলোচনা চলছে।
“এখন আলোচনা চলছে যে, যতটুকু পেমেন্ট করা গেছে, এর ভিত্তিতে যেন কয়লা সরবরাহ করা হয়। চলতি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করার প্রয়োজন ছিল। ইতোমধ্যেই ৫১ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে। বাকিটাও দিয়ে কয়লা আনার ব্যবস্থা চলছে।”