Published : 29 Jan 2024, 06:41 PM
সরকারের উদ্যোগে রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ায় শিগগিরই ডলার সংকট কেটে যাবে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, “আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের খরচ কমে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও রেমিটেন্স প্রবাহ সহযোগিতা করতে পারে। এখন রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
সোমবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভিড মহামারি পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার বেড়ে যায় আমদানি পর্যায়ে। এর মধ্যে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববাজার ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে বেড়ে যায় পণ্যমূল্যও। এতে গত কয়েক বছর থেকেই চাপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিময় হার।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ে ২০২২ সালের জুলাই থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারে উঠা আমদানি ব্যয় এখন নেমেছে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এসব উদ্যোগ চলমান থাকার মধ্যে ডলারের প্রয়োজন মেটাতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকিং খাত।
এমন প্রেক্ষাপটে ডলারের যোগান বড়ানোর কথা বলছেন সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, “চামড়া ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিকে গুরুত্ব দিয়ে এই দুটো খাতেই সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য খাতকেও একই সুবিধা দিলে আমি বিশ্বাস করি বহুমুখী রপ্তানি বাড়বে।”
ফুল, ফল, কৃষিজাত পণ্য, ফার্নিচার, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারও এখন রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আগে কল্পনাও করিনি যে, বাংলাদেশ এতকিছু রপ্তানি করতে পারবে। আমাদের রপ্তানি বহুমুখী হয়েছে কিন্তু ভলিউমটা বাড়ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গার্মেন্টসকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে অন্য খাতকেও যদি একই সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে বহুমুখী রপ্তানির মাত্রা অর্জন করতে পারব।”
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সালমান এফ রহমান বলেন, “দেশের বাজারে কিছু পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। সরকারের হস্তক্ষেপে এরইমধ্যে অনেক কিছুর দাম কমেছে। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করা যায়, অচিরেই দ্রব্যমূল্য আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
চলমান গ্যাস সংকট সাময়িক জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেও এলএনজি কেনা হয়েছে। আর ভবিষ্যতের জন্য ভালো খবর হচ্ছে অনেক নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভোলাতে আগে আমরা পেয়েছি, এখন শেভরন পেয়েছে, পেট্রোবাংলাও পেয়েছে। আশা করি, সামনে গ্যাসের সংকট কমে যাবে।”