প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর একনেকের প্রথম সভায় মোট ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Published : 13 Feb 2024, 03:56 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রথম সভায় সরকারপ্রধানের এই নির্দেশনা এল।
পরিকল্পনা সচিব বলেন, “উনি (প্রধানমন্ত্রী) আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রকল্প বাছাই প্রক্রিয়াটা সুনির্দিষ্ট করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।”
নতুন সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম অসুস্থতার কারণে একনেকের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সে কারণে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
তিনি বলেন, “বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার চিহ্নিত করতে হবে। যেটি জনগণের কল্যাণে, যেটার রিটার্ন পাওয়া যাবে ইমিডিয়েটলি, সেসব প্রকল্প প্রায়োরিটি নির্ধারণ করে বাছাই করতে হবে।”
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই একনেক সভায় এদিন মোট ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, অনুমোদন পাওয়া এই নয় প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে ২৫৪ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে।
চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে বৈঠকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সত্যজিৎ বলেন, “যেসব প্রকল্প প্রায় শেষ হয়ে আসছে, সেসব প্রকল্পের পুরো অর্থ দিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) শেষ করে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন। আর যেসব প্রকল্প শেষ হচ্ছে, সেসব প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
“দেখতে হবে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর রিটার্ন কি হচ্ছে, জনগণ কীভাবে উপকৃত হচ্ছে। সেগুলো জানার জন্য উনি ইম্প্যাক্ট অ্যানালাইসিসের নির্দেশনা দিয়েছেন।”
সত্যজিৎ বলেন, যেসব প্রকল্পের সময় শেষ হয়ে আসবে, সেই প্রকল্পগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বসতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে বাস্তবায়ন দ্রুত শেষ করা যায়।
“জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ফ্রান্স এবং এডিবিসহ আরও অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আমাদের এক বিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছেন। সেই পাইপলাইনের অর্থায়ন নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন, দ্রুত প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।”