সংশোধিত এডিপির শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।
Published : 19 Jun 2023, 11:31 PM
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) বরাদ্দের প্রায় ৬২ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই থেকে মে পর্যন্ত সময়ে মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ২২ কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যয় সংশোধিত এডিপির মোট বরাদ্দের ৬১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের মে পর্যন্ত এ হার ছিল ৬৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ওই সময় পর্যন্ত অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মার্চে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় মূল এডিপি থেকে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকায় সংশোধন করা হয়।
সবশেষ বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিবেচনায় সংশোধিত এডিপির শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।
বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মুহা. মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক মৌসুমের বৈশিষ্ট্যের কারণেই অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে কাজ এগিয়ে নিতে হয়। অর্থবছর শুরু হয় বৃষ্টির মৌসুমে। কাজ শুরু করতেই পার হয়ে যায় মাস দুই। এভাবে শেষ পর্যন্ত শেষের দিকে এসে তাড়াহুড়া করে কাজ শেষ করতে হয়।”
তবে অনেক সময় চলমান কোনও প্রকল্পের আংশিক কাজ অব্যাহত থাকার মধ্যে ইউনিট হিসেবে কাজ শেষ করতে না পারার কারণে কাজের অগ্রগতির শতভাগ দেখানো যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যে কারণে শেষ দিকে এসে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি বেড়ে যায়, যোগ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১৫ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে জ্বালান ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বা বরাদ্দের ৭৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে সেতু বিভাগ।
এরপর যথাক্রমে- বিদ্যুৎ বিভাগ ৭৩ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রায় ৭২ শতাংশ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ প্রায় ৬৮ শতাংশ, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ৬২ শতাংশ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ৬২ শতাংশ।
এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রায় ৬১ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রায় ৬১ শতাংশ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় ৫৭ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৮ শতাংশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রায় ৪৮ শতাংশ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রায় ৪১ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে বরাদ্দের মাত্র ৩৮ শতাংশ।