রাজধানীতে বসছে আরও এক লাখ প্রি পেইড গ্যাস মিটার

এটিসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে একনেকে।  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2023, 03:30 PM
Updated : 21 March 2023, 03:30 PM

রাজধানী ঢাকায় আরও এক লাখ নতুন প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনে চলমান প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী সরকারের অনুমোদন পেয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘প্রি পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের এ সংশোধনী অনুমোদন করা হয়।

শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার জানান, প্রকল্পটির ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এতে ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি এখন ৯২৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) মোট ৮০৭ কোটি টাকা যোগান দিচ্ছে।

এসময় পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী তৃতীয় সংশোধনের কারণ তুলে ধরে জানান, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির মাধ্যমে দুই লাখের কিছু বেশি গ্যাস মিটার স্থাপনের লক্ষ্য ছিল। এরপর দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে তা তিন লাখে এবং এবার আরও এক লাখ বাড়িয়ে তা চার লাখে উন্নীত করা হবে।

প্রকল্পটি নির্ধারিত কাজ শেষ করতে না পারার কারণে সংশোধন হচ্ছে এমন নয়, বরং অতিরিক্ত কাজ করার জন্যই সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, নতুন এক লাখ মিটার কেনা ও স্থাপনের জন্য যে ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে তার মধ্যে জাইকা দেবে ১৫৬ কোটি টাকা।

২০২৪ সালের জুনের মধ্যে তিতাস গ্যাস প্রকল্পটির অধীনে রাজধানীর ৪১টি থানায় মোট ৪ লাখ ২০ হাজার প্রিপেইড মিটার গ্যাস স্থাপন করবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রি পেইড মিটারিং সিস্টেমে গ্যাসের অপচয় রোধ, দক্ষ, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও টেকসই গ্যাস ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং গ্যাসের সিস্টেম লস কমিয়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা সচিব জানান, বৈঠকে এটিসহ এক হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, প্রকল্প সহায়তা থেকে ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা এবং ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।

অনুমোদন পাওয়া বাকি প্রকল্প

>> ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা।

>> ‘ঢাকাস্থ আগারগাঁও এ বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্প; ব্যয় ৯৮ কোটি টাকা।

>> ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; ব্যয় বাড়ছে ৫৮৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

>> ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা’ (২য় পর্যায়) প্রকল্প; ব্যয় ৮০ কোটি টাকা।

>> ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্প; ব্যয় ৪২৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

>> ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প’ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; ব্যয় বেড়েছে ৩৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

>> ‘দ্যা প্রজেক্ট ফর ইম্প্রুভমেন্ট অব ইক্যুইপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ প্রকল্প; ব্যয় ৯৮ কোটি টাকা।

>> ‘ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন’ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প; ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কমিয়ে সংশোধন।