এবার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।
Published : 23 Jan 2024, 08:37 AM
নিত্যপণ্যের বাড়তি দরে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন কঠিন হয়ে উঠার মধ্যে স্বস্তির আভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। চলতি অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
বুধবার সংস্থাটির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক শীর্ষক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর শেষে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে যা এখন ১০ ছুঁই ছুঁই।
জ্বালানি তেল বাদে বিশ্ববাজারে অন্যান্য পণ্যের দামে কিছুটা পতন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন আর্থিক নীতির কারণে এই ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এডিবির অনুমান সঠিক হলেও সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতিই থাকবে অর্থবছর শেষে। চলতি অর্থবছরে সরকার ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ঠিক করেছে।
এবার বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির এই হারও সরকারের লক্ষ্যের চেয়ে কম। কারণ চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরেছেন অর্থমন্ত্রী।
এডিবি মনে করে, আমদানি রপ্তানির কিছুটা উন্নতিতে ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানির উন্নতি হতে পারে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি এডিমন গিন্টিং বলেন, “চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারে তুলনামূলক ভালো করছে।”
বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সংস্কারের অগ্রগতি হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
এডিবি কর্মকর্তা বলেন, কাঠামোগত সংস্কারের মধ্যে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি ঘটানো ও আর্থিক খাতকে আরও দৃঢ় করার বিষয় ছিল।
বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও মধ্য মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)