গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদে ১৬ কোটি টাকা প্রণোদনা

এই প্রণোদনার আওতায় ১৯ জেলার ১৮ হাজার কৃষক বিনামূল্যে পেঁয়াজ বীজ ও সার পাবেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2023, 01:59 PM
Updated : 11 May 2023, 01:59 PM

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

এই প্রণোদনার আওতায় ১৯ জেলার ১৮ হাজার কৃষক বিনামূল্যে পেঁয়াজ বীজ ও সার পাবেন। একজন কৃষককে এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সরকারি আদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সাধারণত সারাদেশে শীতকালীন ফসল হিসাবে পেঁয়াজের আবাদ হলেও কিছু কিছু উঁচু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালেও আবাদ করা যাচ্ছে। মে থেকে জুন মাসের মধ্যে পেঁয়াজের বীজ বপন করতে হয় এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ফসল তোলা যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

দেশে প্রতিবছর ২৪ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ উৎপাদন হয়; চাহিদাও এর কাছাকাছি। কিন্তু সংরক্ষণের প্রযুক্তি না থাকায় অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আর এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে।

এর অংশ হিসাবে গত দুই বছর ধরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর আগে যেখানে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩০০ টন, তা বেড়ে এবছর ৩৯ হাজার ৮০০ টনে উন্নীত হয়েছে। দুই বছরে উৎপাদন বেড়েছে ৩৯ হাজার ৫০০ টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল মাত্র ৪০ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল ৩০০ টন। সরকারের প্রণোদনার কারণে ২০২১-২২ সালে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদের আওতা বেড়েছে ২৫০০ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয় ৩৭ হাজার টন। আর ২০২২-২৩ সালে আবাদ হয়েছে ২৭০০ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০০ টন।