একনেকে যাচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেইন প্রকল্প: কাদের

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীতকরণ প্রকল্প আগামী মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সচিবালয়ের কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেট-মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল এবং সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে বিআরটিসির বাস সার্ভিস উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীতকরণসহ ২৭টি প্রকল্পে চীনা অর্থায়নের জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

পরে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘ঘুষ সাধার’ অভিযোগে চীনা ওই কোম্পানিকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার ঘোষণা দেন।

পরে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হওয়ার ২৭ প্রকল্পের তালিকা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বাদ দেওয়া হয়।

২২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সোয়া চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৭০টি সেতু নির্মাণের কথা ছিল প্রকল্প প্রস্তাবে। এছাড়া চার হাজার ৩৫৮ মিটার দীর্ঘ চারটি উড়াল সড়কও নির্মাণের কথা ছিল।

বিআরটিসির বাস সার্ভিস উদ্বোধন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিসিকে ‘গণমানুষের আস্থার বাহনে’ রূপান্তর করতে শেখ হাসিনা সরকার সম্প্রতি বহরে সহস্রাধিক বাস ও ট্রাক সংযোজন করেছে। এখন প্রয়োজন বিআরটিসির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়ন।

সেবাখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘অনিয়ম কমানো সম্ভব’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বিআরটিসির ট্রিপ ব্যবস্থাপনায় জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি মনিটরিং জোরদার ও রাজস্ব আয় বাড়াতে নিজস্ব অপারেশন সফটওয়্যার ব্যবহারের নির্দেশ দেন।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ হবে এডিবির অর্থায়নে

সচিবকে ‘ঘুষ সাধায়’ কালো তালিকায় চায়না হারবার  

শীতকালে ঘন কুয়াশায় সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতার সাথে যানবাহন চালনার জন্য তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অনুরোধ জানান।

মহামারীকালে সরকার ঘোষিত ‘যত সিট তত যাত্রী’ নীতি প্রতিপালনের পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালনারও আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহী, সিলেটের রেঞ্জ ডিআইজি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।