সড়ক ও মহাসড়ক সচিবকে ‘৫০ লাখ টাকা ঘুষ সাধায়’ চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 16 Jan 2018, 04:54 PM
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “কোম্পানিটি যোগাযোগ সচিবকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিল। সচিব বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। এজন্য কোম্পানিটিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়েছে। কোনো কাজ করতে পারবে না।”
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি চায়না হারবার নির্মাণ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর একটি; প্রায় ৮০টি দেশে তারা কাজ করছে।
সার্ভিস লেইনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেইনে উন্নীত করতে দুই বছর আগে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের।
চায়না হারবার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বেশ কিছু কাজ পেয়েছে, সেগুলো তারা করতে পাবে কি না- এই প্রশ্নে মুহিত বলেন, “সেটাও দেখা যাক কী করা যায়। নর্মাল নিয়ম হল, ব্ল্যাক লিস্টেড মিনস ব্ল্যাক লিস্টেড।”
কোম্পানিটি নতুন করে কোনো কাজ পাওয়ার জন্য ঘুষ সেধেছিল কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না না কাজ তো হয়ে গেছে। কাজ পেয়ে গেছে তারা। … আমার মনে হয় খুশি রাখার জন্য ঘুষ দিতে চেয়েছিল, কাজে চুরি করবে।“
কোন সচিবকে কোম্পানিটি ঘুষ সেধেছিল, তার বিষয়ে কোনো তথ্য না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আই অ্যাম প্রাউড অব হিম (সচিব)।”
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) আসন্ন বৈঠক উপলক্ষে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেইন প্রকল্পে ‘কিছু সমস্যা’ হওয়ার কথা বলেছিলেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, “চীন অর্থায়ন করবে না। তাই এই প্রকল্প এখন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করব।”
সার্ভিস লেইনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেইনে উন্নীত করতে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর চীন সরকারের মনোনীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়।
চীন সরকারের অর্থায়নে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি প্রকল্পটি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বলে তখন বলা হয়েছিল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২৬ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীত করা হবে। মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেন থাকবে।