বছরের প্রথম তিন মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, যার কারণ হিসেবে খাদ্যের বাইরে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবার খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
Published : 03 Apr 2018, 08:46 PM
তবে অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
মঙ্গলবার একনেক সভার পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সেখানে দেখা যায়, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ছিল।
৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হল, ২০১৭ সালের মার্চ শেষে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০১৮ সালের মার্চ শেষে এসে তার জন্য ১০৫ টাকা ৭৬ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, “গেল তিন মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়লেও অর্থবছর শেষে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে পারব বলে আশাবাদী আমরা।”
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মন্ত্রী জানান, ডিম, শাক-সবজি, মসলা জাতীয় দ্রব্যের দাম এই সময়ে কিছুটা কমে এলেও পরিধেয় বস্ত্র, জ্বালানি, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে।
এই সময়ে শহর ও গ্রাম উভয় পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ ছিল।
আর শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৫ দমমিক ৬৫ শতাংশ ছিল।