আগামী এক মাসের জন্য কাঁচাপাট রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
Published : 02 Nov 2015, 09:14 PM
সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ৩ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাস কাঁচাপাট রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ওই আদেশে বলা হয়, “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ৩ নভেম্বর থেকে এক মাস পর্যন্ত সকল প্রকার কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ রাখা হল।”
আইনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি মোড়কীকরণে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই ছয়টি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য মোড়কীকরণে দেশে বছরে প্রায় ১০ কোটি মোড়কের চাহিদা সৃষ্টি হবে বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক হিসেবে বলা হয়েছে।
এরমধ্যে সরকারি পাটকলগুলো ৪ কোটি মোড়ক সরবরাহ করবে। বাকি মোড়ক সরবরাহ করবে বেসরকারি পাটকলগুলো।
সরকারি পাটকলগুলোর কাছে এক কোটি ৪ লাখ পাটের মোড়ক (বস্তা) রয়েছে। বাকি বস্তা উৎপাদনের জন্য স্থানীয় বাজারে পাটের সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে রপ্তানিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার।
মন্ত্রণালয়ে থেকে জানা যায়, বছরে দেশে গড়ে ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়। এরমধ্যে গড়ে ৯ থেকে ১০ লাখ বেল কাঁচাপাট রপ্তানি হয়। বাকি পাট দেশের সরকারি-বেসরকারি ৮০টি পাটকল বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলারের কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রপ্তানি ছিলো ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। কাঁচাপাট রপ্তানির প্রধান গন্তব্য ভারত ও পাকিস্তান।
বর্তমানে দেশে প্রতিমণ কাঁচাপাটের দর ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা।