বাংলাদেশ সরকার এবং কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মধ্যে খুলনায় ‘চুনকুড়ি সেতু প্রকল্প’র জন্য একটি ঋণচুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়।
Published : 25 Jun 2024, 07:11 PM
বংলাদেশের আরও বেশি তহবিলপ্রাপ্তির বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা ওপেক ফান্ডের সম্মেলনে আলোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক ফান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ রয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মেলনের সাইড লাইনে অর্থমন্ত্রী কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (কাফিদ) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ওয়ালিদ আল বাহারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের অব্যাহত সমর্থন ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আগামীতে আরো সহায়তা বৃদ্ধির জন্যও অর্থমন্ত্রী অনুরোধ করেন।
ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহায়তা করতে আরো তহবিল অব্যাহত রাখা হবে। সরকারি খাতের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের জন্যও সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকার এবং কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মধ্যে খুলনা জেলায় চুনকুড়ি নদীর উপর ‘চুনকুড়ি সেতু প্রকল্প’র জন্য একটি ঋণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮৬ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৪২ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার দেবে কাফিদ এবং ৩০ মিলিয়ন ডলার দেবে আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধি এবং রাজধানীর সঙ্গে এই অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল সহজ করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ওপেক ফান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ আলখালিফার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৩২টি প্রকল্পে অর্থ দেওয়ায় ওপেক তহবিলকে ধন্যবাদ জানান।
বাজেট সহায়তা দিয়ে কোভিড মহামারীর সময়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য তিনি তহবিলকে ধন্যবাদ জানান।
ওপেক ফান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ওপেক তহবিল অবশ্যই বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তা বৃদ্ধি করবে।
তিনি অর্থমন্ত্রীর দেওয়া একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির ধারণা গ্রহণ করে বলেন, ওপেক বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য এই ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করবে।