সুদহার আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় ঋণের কিস্তির অঙ্কও বেড়ে যাচ্ছে। তাতে সমস্যায় পড়ছেন অনেক গ্রাহক।
Published : 25 Jun 2024, 09:43 PM
নতুন পদ্ধতিতে হিসাব করায় ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে গেলেও শিল্প কারখানা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণের কিস্তির অংক বাড়ানো যাবে না।
মঙ্গলবার এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ দুই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তিতে টাকার অঙ্ক না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়ানো যাবে।
তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের আগে দেওয়া শিল্প এবং ব্যক্তি পর্যায়ে গৃহ নির্মাণ ঋণের ক্ষেত্রেই এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
গত বছরের জুলাই থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ সুদহার নির্ধারণ করা হচ্ছিল ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) পদ্ধতিতে। তারও আগে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।
আইএমএফ এর কাছ থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের শর্ত বাস্তবায়ন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত মে মাস থেকে ঋণ সুদহার বাজারভিত্তিক করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন গ্রাহক ও ব্যাংকের সম্পর্ক এবং আমানত সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে ঋণ সুদহার র্নিধারণ করছে ব্যাংকগুলো। গত এপ্রিল শেষে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতিতে ঋণ সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠেছিল। সেটি তুলে নেওয়ায় সুদহার এখন বেড়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সুদহার বেশি হওয়ায় ঋণের কিস্তির অঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে। তাতে সমস্যায় পড়ছেন অনেক গ্রাহক। তাতের কথা বিবেচনা করেই কিস্তির অঙ্ক না বাড়িয়ে মেয়াদ পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
সে কারণে ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে বিতরণ করা মেয়াদি শিল্পঋণ এবং ভোক্তাঋণের আওতায় দেওয়া গৃহঋণের কিস্তি আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিস্তি আদায়ে প্রয়োজনীয় মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে। এ ধরনের ক্ষেত্রে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে তা ঋণ পুনর্গঠন হিসেবে বিবেচিত হবে না।
বেতনভোগী চাকরিজীবীদের বেতনের বিপরীতে গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহকের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের সময়সীমার মধ্যে ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে অশ্রেণিকৃত ছিল, এমন ঋণ এই সুবিধার আওতায় আসবে। রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
কোন কোন ঋণ এই সুবিধার আওতায় আসবে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক প্রণীত বা গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ বা বিশেষ তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
সুবিধা পাওয়ার যোগ্য সব ঋণগ্রহীতাকে এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। কোনো ঋণগ্রহীতা এই সুবিধা নিতে চাইলে লিখিত আবেদন করতে হবে; আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে এই সুবিধা দেওয়া যাবে।