চলতি বছর মে মাসে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করেছে ৪৫৬ কোটি টাকা, এপ্রিলে যা ছিল ৫০৬ কোটি টাকা।
Published : 15 Jul 2024, 11:45 PM
চলতি বছরের এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ; তবে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এমন দুটি দেশে আবার বেড়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ হিসাবটি বাংলাদেশি মুদ্রায় বাইরের দেশে কত খরচ হয়েছে সেই হিসাবে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর মে মাসে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করেছে ৪৫৬ কোটি টাকা, এপ্রিলে যা ছিল ৫০৬ কোটি টাকা, মার্চে ৫০৩ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪৯৯ কোটি টাকা ও জানুয়ারিতে ৫৩২ কোটি টাকা।
ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের মার্চ থেকে প্রকাশ করা শুরু করে। তাতে দেখা যায়, প্রতি মাসে বাংলাদেশিরা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন বেশি হয়।
প্রতিবেদন বলছে, সামগ্রিক হিসাবে কমলেও মে মাসে এই দুই দেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বাড়িয়েছে বাংলাদেশিরা।
ভারতে মে মাসে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা যা এপ্রিলে ছিল ৭৬ কোটি টাকা।
মার্চে অবশ্য ছিল ১০৬ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ১০৮ কোটি এবং জানুয়ারিতে ৯৬ কোটি টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসে লেনদেন দাঁড়ায় ৭৫ কোটি টাকা, যা এপ্রিলে ছিল ৬৬ কোটি টাকা।
মার্চে এই অঙ্কটা ছিল ৬৩ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ৬০ কোটি এবং জানুয়ারিতে ৭২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর চিকিৎসা ও ভ্রমণ করতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যান। তাই আগের চেয়ে সেসব দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তখন থেকে দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকেরা প্রতি বছর বিদেশে ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। সেটি তারা কার্ডের মাধ্যমেও খরচ করতে পারেন, আবার নগদ ডলারও সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড নিয়ে গেলে ঝামেলা কম।
ক্রেডিট কার্ডে ডলার দর ১১৭ টাকা।
প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন ভিসা, মাস্টারকার্ড, এমেক্স ও ইউনিয়ন পে ।