সবজির চড়া বাজার নিম্নমুখী হওয়ার মধ্যেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনও ১০ শতাংশের বেশি।
Published : 04 Dec 2023, 10:47 PM
খাদ্যপণ্যের দাম বেশি হারে কমায় বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে হয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সোমবার প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির তথ্য বলছে, গত মাসে খাদ্য ও খাদ্য বর্হিভূত মূল্যস্ফীতি দুটোই কমেছে। তবে বেশি কমেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি; খাদ্যপণ্য খাতে আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৮০ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
এটিই মূলত মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রেখেছে। তবুও এখনও তা ১০ শতাংশের বেশি।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করে।
সে অনুযায়ী, আগের বছর নভেম্বর মাসে দেশে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, সেটা কিনতে এ বছর নভেম্বরে ভোক্তাকে ১০৯ টাকা ৪৯ পয়সা ব্যয় করতে হয়েছে।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে গত মার্চ থেকে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাড়তে বাড়তে গিয়ে ৯ শতাংশে ঠেকেছে। গত মে মাসে তা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে পৌঁছে যায়, যা ছিল ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে খাদ্যপণ্য খাতের মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে প্রায় ১ দশমিক ৮০ শতাংশ পয়েন্ট কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমেছে। এর আগের মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
নভেম্বরে খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অক্টোবরে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
শহর ও গ্রামের হিসেবে নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে। অক্টোবরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
অপর দিকে শহরাঞ্চলের সাধারণ মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আগের মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
ঊর্ধ্বগতির বাজারে নভেম্বরে দেশজুড়ে শীতকালীন সবজি আসায় খাদ্যপণ্যের চাড় দাম নিম্নমুখী হয়েছে। ডিম, মুরগি, মাছ ও গরুর মাংসের দামও কিছুটা কমার প্রভাব পড়েছে বাজার খরচে, যা নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমাতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিবিএসের কর্মকর্তারা।