‘জ্বালানি খাতে নীতি নির্ধারণ করছে এলএনজি লবি,’ এ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন রাশেদ খান মেনন।
Published : 29 Apr 2023, 10:00 PM
ভোক্তার বদলে এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেই এ খাতের নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে এক আলোচনা সভায় অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বক্তা।
আর এ খাতের নীতি নির্ধারণী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ‘দায়মুক্তি’ দিয়ে প্রণয়ন করা ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন’টিকে ‘ভয়ংকর ও জনস্বার্থ বিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন দুইজন সংসদ সদস্য।
শনিবার বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের হালচিত্র ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক নাগরিক সভায় এমন পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ক্যাব এর সংস্কার প্রস্তাব: প্রেক্ষিত জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন’ শীর্ষক এ আলোচনায় রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী, সাবেক আমলা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মতামত তুলে ধরেন।
তারা ব্যক্তি উদ্যোগ এবং আমদানি নির্ভরতার পরিবর্তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের নিজস্ব বিনিয়োগ এবং ব্যয়বহুল কয়লা ও তেলের তুলনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অধিক নজর দেওয়ার তাগিদ দেন।
অপরদিকে সভার আয়োজক কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েমন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মতে, দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ এর বেপরোয়া ব্যবহারে ‘প্রতিযোগিতাবিহীন’ উচ্চ মূল্যের সুবিধা নিতে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে এ খাতের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ‘প্রতিযোগিতাবিহীন’ বিনিয়োগ নিষিদ্ধসহ একগুচ্ছ সংস্কার বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। ক্যাবের এসব প্রস্তাবের সঙ্গে সব বক্তা একমত পোষণ করেন।
সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, “এখন বিদ্যুতের উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। রাজনীতিতে ইনডেমনিটি একটি ঘৃণিত শব্দ। অথচ জ্বালানি খাতে এই দায়মুক্তি দিয়ে রাখা হয়েছে দশককাল ধরে। ২০২২ সালে এসে বিদ্যুৎখাতের দায়মুক্তি আইনটি আবার সংশোধিত হয়েছে।“
আগের সরকারগুলোর মতো ‘লুণ্ঠনবৃত্তি অব্যাহত’ রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুরো জ্বালানি খাত এখন আমদানিনির্ভর হয়ে গেছে। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে আমরা কাজে লাগাচ্ছি না। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে ১ টাকা দামের গ্যাস এখন ৮৩ টাকা খরচ করেও আমদানি হচ্ছে। সমুদ্র বিজয়ের ১০ বছর পরও সেখানে কিছুই করা গেল না। এলএনজি লবিই মূলত জ্বালানি খাতের সব নীতি নির্ধারণ করে থাকে।“
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর অভিযোগ, রাজনীতিবিদ ও আমলাতন্ত্রের মধ্যে এখন দুর্নীতির প্রবণতা বেড়েছে। এখন গুটিকয়েক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে পলিসি ও নিয়মগুলো করা হয়, জনগণের কথা বিবেচনায় রাখা হয় না।
“বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনটি ভয়ংকর। কাজ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। কোনো প্রকল্প শুরু করতে টেন্ডার করা লাগবে না। এসব করে জনগণকে ভোক্তা থেকে প্রজায় রূপান্তর করা হয়েছে।“
সংসদে এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যা চায় তাই হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক বিদ্যুৎ খাতই বাংলাদেশকে দেউলিয়া করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, সম্প্রতি যেসব গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে সবগুলো করেছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স। সেই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম সঠিক গতিতে না হওয়ায় আজকের এই সংকট। অচলাবস্থার কারণেই আজকে চড়া দামে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এলএনজি আমদানির নাম করে কীভাবে টাকা পাচার করা হচ্ছে সেটাও আমরা তুলে ধরেছি। আইনি বাধা থাকলেও সরকার তা ভঙ্গ করে ডিজেল-পেট্রোলের দাম নিজেরাই বাড়াচ্ছে-কমাচ্ছে।
“বিদ্যুৎ জ্বালানি নীতিমালা করার জন্য জাইকাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বে আর কোনো দেশ এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে বিদেশিদের দায়িত্ব দিয়েছে বলে নজির নেই। এই তথ্যপাচার হবে না তার গ্যারান্টি কী?”
সম্প্রতি আইন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) দুর্বল করার সমালোচনাও করেন এই আইনজীবী।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “গ্যাস-বিদ্যুতের আমদানি কিংবা অনুসন্ধানে জনগণের শতভাগ মালিকানা থাকতে হবে। কিন্ত এখন সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গেছি। জ্বালানি মন্ত্রণালয় এখন বিদেশি-বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পিআর এর কাজ করে যাচ্ছে। এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বার বার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি।“
বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে এখন যেসব অনিয়ম দুর্নীতি চলছে তার বোঝা বহন করছে দেশের চার কোটি পরিবার আর এর সুফল পাচ্ছে মাত্র ১০ লাখ পরিবার।
আইন করে ‘দায়মুক্তি’র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ খাতে সক্ষমতা যতটুকু ছিল সেটিকে পরিকল্পিতভাবে অক্ষম করা হয়েছে। ‘ক্যাপাসিটি চার্জের’ নামে লুটপাট চলছে বলেও অভিযোগ তার।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু খনিজ সম্পদকে জাতীয় সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। এখন তারা বঙ্গবন্ধুর কথা বলে উনার চিন্তা চেতনাবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছে।
আলোচকদের মধ্যে আরও ছিলেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ, স্থপতি ইকবাল হাবিব।
ক্যাবের দৃষ্টিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির বর্তমান প্রেক্ষাপট
আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মূল্যায়ন একটি পুস্তিকা আকারে উপস্থাপন করে ক্যাব।
এতে উল্লেখ করা হয়-
>> ভোক্তাস্বার্থ ও ভোক্তা-অধিকার উপেক্ষা করে বাণিজ্যিক বিবেচনায় ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে বাঁধনমুক্ত করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে রাষ্ট্রের কৌশলগত এ খাতকে বাণিজ্যিক খাতে পরিণত করা হয়েছে। ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অযৌক্তিক ও লুণ্ঠনমূলক ব্যয়বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
>> কম-বেশি ১৮ শতাংশ মুনাফায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। গত এক দশকে গড়ে বছরে কম-বেশি ৭ শতাংশ হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়লেও উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে গড়ে ১২ শতাংশ; যার ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন অব্যবহৃত। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বেড়েছে।
>> গণশুনানির তথ্য ও উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, ন্যূনতম ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলের পরিবর্তে উচ্চতর ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আমদানি হচ্ছে।
>> ২০২২ সালে গণশুনানির তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়, জাতীয় জ্বালানি সম্পদ মজুদ ও উৎপাদন বাড়ানোর পরিবর্তে গ্যাস (এলএনজি) ও কয়লা আমদানি অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। ফলে প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় ও বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।
>> দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ এর বেপরোয়া ব্যবহারে প্রতিযোগিতাবিহীন উচ্চ মূল্যে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়ছে।
>> দামের ফারাক তুলে ধরে বলা হয়, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগানো হচ্ছে না। বরং আমদানি করা কয়লায় বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
>> ইউএসএআইডি এর উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, দেশে বাণিজ্যিকভাবে সৌর ও বায়ু মিলিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা প্রায় ৮০ হাজার মেগাওয়াট।
>> পিডিবির ও ভারতের সৌর বিদ্যুতের দামের বিশাল ফারাক তুলনা করে বলা হয়, কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন ও বিনিয়োগ ব্যয় ন্যায্য ও যৌক্তিক হলে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের মূল্যহার ভারতের পর্যায়ে নামিয়ে আনা অসম্ভব নয়।
সংস্কার বাস্তবায়নে ক্যাবের ১৩ দফা
>> বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত উন্নয়নে প্রতিযোগিতাবিহীন যে কোন ধরনের বিনিয়োগ আইন দ্বারা নিষিদ্ধ হতে হবে।
>> সরকার ব্যক্তিখাতের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত হবে না এবং সরকারি মালিকানাধীন কোনো কোম্পানির শেয়ার ব্যক্তি খাতে হস্তান্তর করবে না, আইন দ্বারা তা নিশ্চিত হতে হবে।
>> বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি খাতভূক্ত সরকারি ও যৌথ মালিকানাধীন সব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আমলাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
>> নিজস্ব কারিগরি জনবল দ্বারা স্বাধীনভাবে উভয় খাতের কোম্পানি/সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে।
>> মুনাফা ছাড়া খরচের ভিত্তিতে ৫০ শতাংশের অধিক বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন সরকারি মালিকানায় হতে হবে।
>> গ্যাস উন্নয়ন তহবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিল, জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিলের অর্থ যথাক্রমে গ্যাস অনুসন্ধান, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় ভোক্তার ইকুইটি বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হতে হবে ।
>> প্রাথমিক জ্বালানি মিশ্রে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনায় কয়লা ও তেলের অনুপাত কমাতে হবে। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও মজুদ বাড়ানো এবং নবায়যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বারা জ্বালানি আমদানি নিয়ন্ত্রিত হতে হবে ।
>> জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উৎস থেকে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
>> বিদ্যুৎ, জীবাশ্ম ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন নীতি, আইন, বিধি-বিধান ও পরিকল্পনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সম্পাদিত প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
>> জ্বালানি নিরাপত্তা সুরক্ষার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানির মূল্যহার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে ‘এনার্জি প্রাইস স্ট্যাবিলাইজড ফান্ড’ গঠিত হতে হবে।
>> ভোক্তার জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণ ও জ্বালানি সুবিচারের পরিপন্থি হওয়ায় (ক) দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ রদ হতে হবে এবং (খ) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন ২০০৩ সংশোধনক্রমে সংযোজিত ধারা ৩৪ক রহিত হতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার নির্ধারণের একক এখতিয়ার বিইআরসি'কে ফিরিয়ে দিতে হবে।
>> বাপেক্স ও সান্তোষের মধ্যে মগনামা-২ অনুসন্ধান কূপ খননে সম্পাদিত সম্পূরক চুক্তি, বিআরইবি ও সামিট পাওয়ারের মধ্যে সম্পাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় সম্পূরক চুক্তি এবং বিপিডিবি ও সামিট পাওয়ারের মধ্যে সম্পাদিত মেঘনাঘাট পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় সম্পূরক চুক্তি বেআইনি ও জনস্বার্থ বিরোধী প্রতীয়মান হওয়ায় এসব চুক্তি বাতিল হতে হবে।
>> বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়নে সম্পাদিত সব চুক্তি বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পাদনের লক্ষ্যে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অনুমোদিত মডেল চুক্তি মতে হতে হবে।