এমনকি ব্যয় কমাতে দাপ্তরিক কাজে কাগজসহ সরঞ্জামাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করা এবং অপ্রয়োজনীয় প্রিন্ট না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
Published : 27 Jul 2022, 01:07 AM
ব্যয় সাশ্রয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের গাড়ির জ্বালানি খরচ অন্তত ২০ শতাংশ কমানো এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়ন ছাড়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার এনবিআর সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) বশীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচসহ সব ক্ষেত্রে সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে মোট ১৪টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের অধীনের সব কার্যালয়কে এই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
এতে বলা হয়, এনবিআর কর্মকর্তাদের গাড়ির জ্বালানি বাবদ ব্যয় বিদ্যমান খরচ অপেক্ষা ২০ শতাংশ হ্রাস নিশ্চিত করতে অফিস প্রধান নিয়মিত তদারকি করবে।
“গাড়ির জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য গাড়িতে এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং গাড়ির অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার পরিহার করতে হবে।”
ব্যয় সাশ্রয় ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: সরকারি অফিসে ২৫% বিদ্যুৎ কমানোসহ ৮ সিদ্ধান্ত
আবার অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন না হলে বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে বিদেশ যেতে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ আওতাধীন অফিসসমূহে কর্মরত কর্মচারীদের নিতান্ত অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে হবে। জটিল রোগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়নে বিদেশে চিকিৎসার রেফারেন্সের ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।”
এমনকি ব্যয় কমাতে দাপ্তরিক কাজে কাগজসহ সরঞ্জামাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করা এবং অপ্রয়োজনীয় প্রিন্ট না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য নির্দেশনা
>> অফিস কক্ষে অবস্থান না করলে কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা, বাতি, এসি, টেলিভিশন ইত্যাদি যন্ত্র বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
>> বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে। অফিস কক্ষ, অফিস করিডোর, সম্মেলন কক্ষসহ সকল প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যৌক্তিকতার নিরিখে অনাবশ্যক বাতি না জ্বালানো নিশ্চিত করতে হবে।
>> এসি এর তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা যাবে না।
>> অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা পরিহার করতে হবে।
>> সব মিটিং বা সভা যতদূর সম্ভব অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন নিশ্চিত করতে হবে।
>> প্রতিটি অফিসে নিজস্ব ক্রয় পরিকল্পনা পুনঃপর্যালোচনা করে রাজস্ব ব্যয় হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে।
>> প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প সমাপ্তসহ ধীরগতির প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।