কোভিড মহামারীর সময়ের চেয়েও প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।
Published : 09 Mar 2025, 11:40 PM
চলতি বছর বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি জানুয়ারিতেও ৭ শতাংশের ঘরে রয়েছে; যা এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে এ হার ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির তথ্য আছে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে। এসব তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এত কম প্রবৃদ্ধি গত এক দশকে হয়নি।
এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে কোভিড মহামারীর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণের দেওয়ার প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়ে রাখার যে নীতি ঠিক করেছে, জানুয়ারিতে এ হার সেটির থেকে অনেক কম। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় জুলাই-অগাস্টে সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর পর বেসরকারি খাতে ঋণের যে নিম্মমুখী প্রবণতা শুরু হয় তা জানুয়ারিতেও অব্যাহত ছিল।
এর অর্থ জানুয়ারিতে উদ্যোক্তা বা বিনিয়োগকারীরা নতুন করে খুব বেশি ঋণ নিতে আগ্রহ দেখাননি বা ঋণ পাননি।
অর্থনীতির বিশ্লেষকদের মতে, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গেলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ধীর হয়ে যায়, বিনিয়োগ কমে যায়। এতে নতুন শিল্প স্থাপন বা শিল্প সম্প্রসারণের গতি কমে যায়। এর প্রভাব পড়তে দেখা যায় কর্মসংস্থানে।
এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বেসরকারি খাতকে সমৃদ্ধ ও প্রসার করতে হলে ঋণ দেওয়া জরুরি। ঋণ দেওয়া যত সহজ হবে অর্থনীতি তত বড় হবে। এতে কর্মসংস্থান ও জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়।
ঋণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা উচ্চ সুদ হার ও ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন বলে তিনি তুলে ধরেন।
পরিসংখ্যান বলছে, জুলাইতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, অগাস্টে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ ও নভেম্বরে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।