কর কর্মকতাদের উদ্দেশে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “করদাতাদের মনে যেন ভীতি তৈরি না হয়। তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।”
Published : 14 Sep 2024, 12:42 PM
বিদেশি সহায়তা খুব একটা পাওয়া যাবে না জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর কর্মকর্তাদেরকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, বিদেশি সহায়তা খুব একটা পাওয়া যাবে না। অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ওপর নির্ভর করতে হবে।
“তাই রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে। প্রত্যক্ষ করে ফাঁকি দেওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের পরোক্ষ করে ঝামেলা আছে। কষ্ট দিয়ে কারও কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করবেন না।”
শনিবার এনবিআরের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অর্থ আইন, ২০২৪- এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে আনীত পরিবর্তন’ এর ওপর আলোচনায় এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে সরকারি অর্থের অপচয় কমানোরও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বিদেশি ঋণে ঝুঁকে না পড়ে নিজস্ব উৎস থেকে অর্থের সংস্থান করতে জোর দেওয়ারও আহ্বান জানান কর কর্মকর্তাদের।
পরমুখাপেক্ষি হওয়ার বিপদ অন্তবর্তীকালীন সরকার টের পাচ্ছে জানিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, “একটা কথা আছে, আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন, আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি।
“দাতা সংস্থারা যেদিকে বলে যেতে…ডান দিকে যেতে বললে আমার যাওয়ার কথা বাঁ দিকে, বাঁ দিকে বললে আমার যাওয়ার কথা ডান দিকে। সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। আমরা চাই না তাদের ওপর নির্ভরশীল হতে।”
কর কর্মকতাদের উদ্দেশে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “করদাতাদের মনে যেন ভীতি তৈরি না হয়। তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।”
আলোচনায় এনবিআরের আইনগুলোকে ব্যবসাবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, “সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের অনুরোধ করছি। জণগণের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপছে, অথচ এনবিআর কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। এখান থেকে বের হতে হবে।”
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, “করদাতাদের দেওয়া রাজস্ব বিভিন্নভাবে অপচয় হয় এমন কথা প্রচলিত আছে। এখান থেকে বের হতে হবে এনবিআরকে।”
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. লুৎফুল আজীম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের মাঝে আয়করের সংস্কার প্রয়োজন।
“প্রত্যক্ষ করকে একটা জায়গায় নিতে সংস্কার লাগবে। আমরা অটোমেশন চাই। কোনো অফিসারের এর বিরোধিতার সুযোগ নাই। অটোমেশনের বিকল্পও নাই।”
এ সময় লুৎফুল আজীম অটোমেশনের পাশাপাশি কর কর্মকর্তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণেও জোর দিয়ে বলেন, এখানে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হবে।