বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র বর্তমান দায়িত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব পালন করবেন।
Published : 24 Jun 2024, 05:08 PM
কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে এলেন কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, যিনি এ ট্রাইব্যুনালের সদস্য (টেকনিক্যাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানকে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করার পর সেই জায়গায় সুরেশ চন্দ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হল।
সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হল।”
বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র বর্তমান দায়িত্বের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব পালন করবেন। সেজন্য তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ‘কার্যভারভাতা’ পাবেন।
কোরবানির ঈদের আগে মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার খবর প্রকাশ্যে এলে সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। ইফাত জানান, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মো. মতিউর রহমান।
তখন ছাগলসহ ইফাতের ছবি জুড়ে দিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন- ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী? একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিপুল ব্যয়ে কোরবানির পশু কেনার সামর্থ্য হল কী করে?
মতিউর রহমান দাবি করেন, ইফাত নামে কেউ তার ছেলে বা আত্মীয় নয়, এমন নামে কাউকে তিনি চেনেন না। তার একটিই ছেলে, তার নাম তৌফিকুর রহমান।
পরে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দাবি করেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। ইফাত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের (স্ত্রীর) ছেলে।
একাদশ বিসিএসের (শুল্ক ও আবগারি) কর্মকর্তা মতিউর রহমান রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনিত পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ওই পদ থেকেও তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদনে আদালত মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।