ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের পর রাশিয়ার ওপর অর্থ পাঠানোর মাধ্যম সুইফট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে শুরু থেকেই এ নিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
Published : 19 Jan 2025, 08:58 PM
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতা মিটে যাবে বলে মনে করছেন ঢাকায় রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার খোজিন।
রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, “ঋণ পরিশোধের ইস্যুর সমাধা হবে এবং আমি একেবারে নিশ্চিত। আমি ইতিবাচক পথে এগোচ্ছি। সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও পেশাদারদের সঙ্গে আলোচনা হবে। আমি এই মুহূর্তে অনুমান করব না, তবে আমার ভাবনা ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে এবং সমাধা হবে।”
ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের পর রাশিয়ার ওপর অর্থ পাঠানোর মাধ্যম সুইফট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে শুরু থেকেই এ নিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পের জন্য নেওয়া বিপুল ঋণের সুদের অর্থ পাঠানোর চেষ্টার মধ্যেই বাংলাদেশের তরফে ঋণের আসল পরিশোধের সময় বাড়ানোর চেষ্টা চলে। তবে রাশিয়া এ প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে সুদের অর্থ পরিশোধে তাগাদা দেয়।
এ নিয়ে উভয় পক্ষে টানাপড়েনের মধ্যে চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে জটিলতা এড়াতে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সুদের অর্থ পাঠাতে বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া সময় বাড়ানোর আগ্রহ না দেখিয়ে বরং সুদের অর্থ চীনা ব্যাংকের মাধ্যমে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। বাংলাদেশও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করেও পারেনি।
পরে রাশিয়ার দেখানো চীনা ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়ার মধ্যে যাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাশিয়া ও বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়ে ওই প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত খোজিন বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত তার দেশ।
দুদেশের মধ্যে আরও সহযোগিতার সুযোগের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করার কথা জানান রুশ রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার অবিচল সমর্থন, সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় মতবিনিময় ও সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে উভয় দেশ একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়ে আসছে।”
রাশিয়ার কৃষি, জাহাজ তৈরি ও হসপিটালিটি খাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনার কথাও বলেন আলেক্সান্দার খোজিন।
তিনি বলেন, বড় সংখ্যায় এই নিয়োগ দেওয়ার আগে রিঅ্যাডমিশন ও প্রত্যর্পণসহ অন্যান্য বিষয় ঠিক করতে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে।
আরও পড়ুন: