ছাগল, গাড়ল পালনেও মিলবে ৪ শতাংশ সুদের ঋণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি খাতের আওতায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুন:অর্থায়ন তহবিলের ঋণে যুক্ত হল এ দুই পশু পালন।

কৃষি খাতের শস্য ও ফসল উৎপাদন বাড়াতে গঠিত তহবিলের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে এখান থেকে ছাগল ও গাড়ল পালনে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ পুন:অর্থায়ন তহবিলটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়। চলতি জুন মাস শেষে পুন:অর্থায়ন স্কিমটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

এ তহবিলে আগের আওতাভুক্ত খাতগুলোর পাশাপাশি নতুন দুই পশুপালন ও কন্দাল ফসল চাষ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামের এ তহবিল গঠন করা হয়।

মহামারীর মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সংকট তৈরি করেছে, তা মোকাবেলায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তখন সরকারের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক ফসল ও শস্য উৎপাদনে গ্রাহক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদে বিতরণের জন্য এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে।

এ তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে অর্থ নিয়ে ফসল ও শস্য উৎপাদন খাতে ঋণ দিতে পারে।

সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে এ তহবিল থেকে। ঋণ বিতরণের পড়ে সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে তা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ ঋণে খেলালি হলেও সুদহার বাড়াতে পারবে না এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে এই স্কিমে ‘গরু মোটাতাজাকরণ’ খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা আগে ধান চাষ, মাছ চাষ, শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোলট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

বিশেষ তহবিলের পাশাপাশি কৃষি খাতে নিয়মিত ঋণ বিতরণে প্রতিবছর ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্য দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য তা ৩৫ হাজার কোটি টাকা করা নির্ধারণ করা আছে।