চট্টগ্রামে বৈশাখের রঙিন উদযাপন

বৈশাখ দিয়েছে নতুনের ডাক; চট্টগ্রাম নগরবাসী মেতেছে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাংলা নববর্ষ উদযাপনে।

পঞ্জিকার পাতা উল্টে যে নতুন দিন এসেছে বাংলাদেশ; তাতে অতীতের সকল গ্লানি মুছে নতুন বছরকে বরণ করতে নানা অনুষ্ঠান মালায় মেতেছে চট্টগ্রাম।

রোজা ও তীব্র গরমের কারণে এ বছরের আয়োজনে উপস্থিতি ছিল অন্যবারের তুলনায় কম। রোজার কারণে সব জায়গায় অনুষ্ঠানমালা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বেলা ১২টার মধ্যেই শেষ করার বাধ্যবাধকতা আছে এ বছরের অনুষ্ঠানে। 

তারপরও রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে নগরবাসী ছুটছে ডিসি হিল ও সিআরবির শিরিষতলায়। সব জীর্ণতা ও বাঁধা ডিঙিয়ে সব বয়সীরা মেতে উঠেছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণ করার উৎসবে।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে ‘সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ।’

ডিসি হিলে সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীতে। সঙ্গীতভবনের শিল্পীরা জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গানের মধ্য দিয়ে শুরু করে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন।

এরপর একে একে রক্তকরবী, বোধন আবৃত্তি পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পী পরিবেশন করেন দলীয় ও একক গান ও নৃত্য।

সিআরবির শিরিষ তলার নববর্ষ আয়োজনের অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘ভায়োলিনিস্ট চিটাগাং’ নামে একটি সংগঠনের দলীয় বেহেলার সুরে।সেখানেও একে একে বিভিন্ন শিল্পী ও সংগঠনের সদস্য গান, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শেষ হবে তাদের এ অনুষ্ঠানমালা। দেড় দশক আগে সিআরবিতে শুরু হওয়া এ পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মনিরুজ্জামানের একুশে পদক পাওয়ায় এবার সংবর্ধনারও আয়োজন করা হয়। 

এ দুটি বড় অনুষ্ঠান ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে আলাদা করে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের নিয়ে সকাল ১০টায় হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।  

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারুশিল্পী সম্মিলনের পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনও মেতে উঠেছেন আনন্দ উৎসবে।  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি  রয়েছে বলী খেলাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা।