চট্টগ্রাম নগরীতে একটি চুরির ঘটনায় অভিযানে নেমে গ্রেপ্তার ছয়জনের কাছ থেকে অন্য একটি চুরির ঘটনার ৫২ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আরিফ হোসেন মেহেদী (২৬), শরীফ (২০), মেহেদী হাসান রুবেল (২৩), সাইদুল ইসলাম রিগ্যান (২২), হান্নান হোসেন (২৩) ও রিয়াদ হোসেন (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “নগরীর সদরঘাটে ৩ জানুয়ারি হওয়া একটি চুরির ঘটনায় তদন্তে নেমে শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়্যার মার্কেটের সামনের রাস্তা থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়।”
তাদের কাছ থেকে চারটি ছোরা, দুটি তালা কাটার যন্ত্র, একটি দেশি পাইপগান ও একটি রেঞ্চ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের পর আরিফ হোসেন মেহেদী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার কাছে কিছু চোরাই স্বর্ণালংকার আছে। এরপর তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।
“মেহেদীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে কনকর্ড গ্রুপের একটি খালি জমিতে একটি ঝোপের মাটির নিচ থেকে ৫১ ভরি ১২ আনা সোনা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ারা জানায়, ওই স্বর্ণালংকারগুলো মেহেদীবাগের আমিরবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে চুরি করা।”
২ ফেব্রুয়ারি নগরীর আমিরবাগ এলাকায় এক সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল, ওই বাসা থেকে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর পারিবারিক ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে।
উপ-কমিশনার মোস্তাফিজুর বলেন, “এই চোর চক্রের সদস্যরা টোকাই সেজে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে। তারপর কোনো ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি দেখলে সেখানে চুরি করে।
“তারা আমিরবাগের ওই বাসা থেকে কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরি করেছে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সব তথ্য পেলে পরে জানানো হবে। এ চক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডের মধ্যে গ্রিল কিংবা আলমারির তালা ভাঙতে পারদর্শী।”
এই চক্রের কয়েকজনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নোবেল চাকমা ও কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তীসহ সদরঘাট ও চকবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।