ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজা: দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তারে জানা গেল ‘আসল নাম’

চট্টগ্রামে প্রতিবেশী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সুপন নামের এ যুবককে সবাই তখন সবুজ নামে চিনতেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2023, 02:59 PM
Updated : 26 Jan 2023, 02:59 PM

পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করে নাম-ঠিকানা এমনকি ধর্ম গোপন করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে নতুন নাম নেন এক যুবক; সেখানে প্রতিবেশী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ছয় মাস কারাবাসের পর জামিনও পান।

২০২০ সালে ধর্ষণের সেই ঘটনায় ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ৬ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সেই থেকে পলাতক ওই যুবককে ধরতে সম্প্রতি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর পুলিশ অভিযানে নেমে জানতে পারে তার নাম বদলের কাহিনি।

চট্টগ্রামে বসবাসের সময় মো. সবুজ নাম নেওয়া সেই যুবককে গত বুধবার কুমিল্লা সদরের ছাতিপট্টি থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানান খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, কুমিল্লায় একটি স্বর্ণাকারের দোকানে কাজ নিয়েছিলেন ওই যুবক। তার অবস্থান শনাক্তের পর বাদীকে নিয়ে গিয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জানান, সবুজ নামে তার সাজা হয়। তবে তার আসল নাম সুপন চন্দ্র দেবনাথ (২৫)। বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। সবশেষ কুমিল্লা সদরে স্বর্ণাকারের যে দোকানে সুপন কাজ নিয়েছিলেন সেখানে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন নারায়ণ নামে। আসল নাম ও ঠিকানা গোপন করেছিলেন।

পরিবারের সঙ্গে ‘ঝগড়া’ করে চট্টগ্রামে চলে যাওয়ার আগে সুপন নোয়াখালী সদরে একটি স্বর্ণের দোকানে কাজ করতেন। আর চট্টগ্রাম নগরীতে করতেন দিনমজুরের কাজ; থাকতেন লালখান বাজারের টাংকির পাহাড়ে।

সেখানে নাম- ঠিকানা ও ধর্ম গোপন রেখে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন মো. সবুজ নামে। ঠিকানা ব্যবহার করেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা। ধর্ষণের ঘটনার সময় তাকে এ নামেই প্রতিবেশীরা জানতেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বুধবার গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে নিজের নাম নারায়ণ বলেই দাবি করেন তিনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নিজের আসল নাম ও ঠিকানা জানান এবং পরিচয়পত্র দেখান।

তাকে চট্টগ্রামে আনার পর বৃহস্পতিবার নাম-ঠিকানা ও ধর্ম উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, আদালতের পরোয়ানা আসার পর ফেনীর ঠিকানায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় পুলিশ সেটা ভুল বলে জানায়। এরপর খুলশী থানা পুলিশের একটি দল সবুজ নামেই তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে কুমিল্লা সদরে তার খোঁজ পায়।